শুধুমাত্র বিদেশে ভ্রমণের ‘অপরাধে’ এক বৃদ্ধ উইঘুর দম্পতিকে ২০ বছরের কারাদণ্ড দিলো চীনের ইসলাম বিদ্বেষী বর্বর প্রশাসন। সেই উইঘুর দম্পতি হলেন তুরসুন বারাত (৬৯) এবং জাহিদেম হেল্পেহাজি (৬৬)।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া পোস্টের মাধ্যমে জানা যায় যে, উক্ত দম্পতি তুরস্কে ঘুরতে গিয়েছিলেন। এবং এই ঘুরতে যাবার কারণেই তাদের গ্রেপ্তার করে চীনা প্রশাসন। এবং পরবর্তীতে তাঁদের উভয়কেই ২০ বছরের কারাদণ্ড ঘোষণা করে দেশটির আদালত।
এই ঘটনার মাধ্যমে বিষয়টি একদম স্পষ্ট হয়ে যায় যে, উইঘুর মুসলিমদের দেশের বাইরে ঘুরতে যাওয়াকেও অপরাধ হিসেবে গণ্য করে নিষ্ঠুর ইসলাম-বিরোধী চীনা প্রশাসন। এছাড়াও মুসলিমদের ধর্ম পালনকে তারা ‘উগ্র’ কর্মকাণ্ড হিসেবে আখ্যায়িত করে এবং মুসলিমদেরকে ধর্ম পালন থেকে বিরত রাখতে তারা সার্বক্ষণিক মুসলিমদের ওপর নজরদারি করে।
অন্যদিকে মেমেতেজিজ আবলিয নামের ১৯ বছর বয়সী এক যুবককে বিনা কারণে আটক করেছে চীনা প্রশাসন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া পোস্ট থেকে জানা যায় যে, আবলিযকে আটক করে ডিটেনশন ক্যাম্পে প্রেরণ করেছে তারা। তবে ডিটেনশন ক্যাম্পে প্রেরণের পর তাঁর সাথে কি হয়েছে, সেটি এখনও জানা যায় নি- বলছেন বিভিন্ন সমাজকর্মীরা।
উইঘুর মুসলিমদের বিরুদ্ধে একের পর এক ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘন করে যাচ্ছে ইসলাম বিদ্বেষী চীনা প্রশাসন। ইসলাম ও মুসলিমদের নিশ্চিহ্ন করতে ডিটেনশন ক্যাম্প তৈরী করে সেখানে জোরপূর্বক মুসলিমদের শেখানো হচ্ছে চীনা সংস্কৃতি। মুসলিমদেরকে ইসলাম থেকে বের করার জন্য প্রতিনিয়ত প্রয়োগ করা হচ্ছে নতুন নতুন সব কৌশল। এমনকি মুসলিমদের অঙ্গ অপসারণের মতো অবৈধ কাজও সেখানে চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে ডিটেনশন ফেরত বিভিন্ন মুসলিম।
মুসলিম উলামাগণ বলছেন, উম্মাহের সবসময় উচিত উইঘুর মুসলিমদেরকে ভুলে না যাওয়া। তাঁদের জন্য যথাসম্ভব নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী কাজ করে যাওয়া। বিশেষ করে চীনা প্রশাসনের বিরুদ্ধে যথাসম্ভব প্রচারণা চালিয়ে যাওয়া এবং উম্মাহকে উইঘুর মুসলিমদের দুর্দশার বিষয়টি প্রতিনিয়ত স্মরণ করিয়ে দেওয়া। আর সাধ্যমত নির্যাতিতের পক্ষে ও জালেমের বিপক্ষে নববী আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে প্রস্তুতি গ্রহণ করা।
তথ্যসূত্র:
——–
1. Elderly #Uyghur Muslim Couple Jailed For Going Abroad
– https://tinyurl.com/mryevb3j
2. 19 years old innocent Uyghur man was detained in Chinese death camp
– https://tinyurl.com/yh8d6mxf