পূর্ব আফ্রিকার দেশ সোমালিয়ায় দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলছে আল-কায়েদা মুজাহিদদের বিজয় অভিযান। সেখানে তাঁরা প্রতিদিন নতুন নতুন শহর ও এলাকা বিজয় করে তাওহীদের বিজয়ী পতাকাকে সমুন্নত কর চলেছেন।
সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখেই ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী আল-কায়েদার পূর্ব আফ্রিকা শাখা হারাকাতুশ শাবাব আল-মুজাহিদিন সোমালিয়ার হিরান রাজ্যে সম্প্রতি বড় ধরণের সামরিক অভিযান চালাচ্ছেন। স্থানীয় সূত্রমতে, আশ-শাবাব প্রশাসন রাজ্যটিতে তাদের স্পেশাল সামরিক ইউনিটের একাংশকে গত বুধবার থেকে নামিয়েছে। এরপর থেকে প্রতিরোধ যোদ্ধারা হিরান রাজ্যের নতুন নতুন শহর বিজয় এবং পুনরুদ্ধার করতে শুরু করেছেন, আলহামদুলিল্লাহ্।
সূত্রমতে, প্রতিরোধ যোদ্ধারা গত ২৯ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর শুক্রবার পর্যন্ত, রাজ্যটির গুরুত্বপূর্ণ ৯টি শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন। শহরগুলো হলো- “বিরু ইয়াবাল”, “নুর ফাহ”, “তারদো”, “জাবু” এবং “ইউসুমন”, “আবুরি”, “জেরসিয়ানী”, “আইল লাহলি” এবং “আল-লাহলি”, “আবদি আগউইন”।
হারাকাতুশ শাবাব কর্তৃক বিজিত এই শহরগুলোর কোনোটি মুজাহিদগণ বিনা যুদ্ধেই নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন; যেখানে শত্রুবাহীনা মুজাহিদদের আগমনের সংবাদ পেয়েই শহর ছেড়ে পালিয়ে যায়। আবার কয়েকটিতে গাদ্দার বাহিনীর সাথে তীব্র লড়াইও হয়েছে মুজাহিদদের। কিন্তু মহান আল্লাহ তাআ’লার সাহায্যে, অবশেষে মুজাহিদদের কাছে লাঞ্চনাকর পরাজয় বরণ করতে হয়েছে গাদ্দার সোমালি সামরিক বাহিনীকে। ধারণা করা হচ্ছে, এসব লড়াইয়ে শত্রুবাহিনীর শতাধিক সৈন্য নিহত এবং অসংখ্য সৈন্য আহত হয়েছে।
উল্লেখ্য যে, এর ঠিক আগের ৪দিনের লড়াইতেও আশ-শাবাব মুজাহিদিন জালাজদুদ ও হিরান রাজ্যের বড় ২টি শহরসহ ৭টি এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন। বর্তমানে হিরান রাজ্যের কমপক্ষে ৯৫ ভাগ এলাকাই মুজাহিদদের নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে, আলহামদুলিল্লাহ্। বাকি এলাকাগুলোর নিয়ন্ত্রণ নিতে মুজাহিদগণ লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন।
স্থানীয় সূত্রমতে, অবশিষ্ট এলাকাগুলো মুজাহিদদের নিয়ন্ত্রণে চলে আসলে রাজধানী মোগাদিশু পুরোপুরি অবরুদ্ধ হয়ে পড়বে। এজন্যই পশ্চিমা সমর্থিত সরকার, মিলিশিয়া, জাতিসংঘ, আফ্রিকান ইউনিয়ন, তুরস্ক ও আমেরিকা রাজ্যটির নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে মরিয়া হয়ে একযোগে আশ-শাবাবকে প্রতিহত করার চেষ্টা করছে।
বিপরীতে আশ-শাবাব মুজাহিদিনও রাজ্যটিতে ভারী অভিযান চালাচ্ছেন। কুফ্ফার বাহিনীর সম্মিলিত অভিযানের মধ্যেও মুজাহিদগণ তাদের বিজয়যাত্রা অব্যাহত রেখেছেন, যা এখণো চলমান আছে, আলহামদুলিল্লাহ্।
মুজাহিদদের এই বিজয় অভিযানগুলো আমাদেরকে কাবুল বিজয়ের পূর্বে তালিবান মুজাহিদদের অভিযানগুলোর কথা স্বরণ করিয়ে দিচ্ছে। ইসলামি বিশ্লেষকরা তাই মনে করছেন, আমরা কাবুল বিজয়ের মতোই নতুন আরও একটি পদধ্বনি শুনতে পাচ্ছি… ইনশাআল্লাহ্…
প্রতিবেদক :
ত্বহা আলী আদনান
alhamdu lillah
এখনও যারা আল্লাহর বাহিনীর সাথে যুদ্ধে লিপ্ত আছে তারা কতটা হটকারি, তাদের পরিনাম লাঞ্চনা ও গজব ছাড়া কিই বা আশা করা যায়
আলহামদুলিল্লাহ” রাব্বে কা’বার নুসরাতে যেমন বদরি ৩১৩ জন সাহাবী তখনকার সুপার পাওয়ারদের যেভাবে ধূলিসাৎ করেছিলেন একেবারে নাম নিশানা মুছে দিয়েছিলেন তেমনিভাবে বর্তমান মুজাহিদদের ক্ষুদ্র বাহিনীও আল্লাহর নুসরাতে বদরি সাহাবিদের রূপ ধারণ করে উত্তর থেকে দক্ষিণ, পূর্ব থেকে পশ্চিম গোটা পৃথিবীজুড়ে ইসলামি সালতানাত কায়েম করবে” বি-ইজনিল্লাহ….