করোনা লকডাউন তুলে নেওয়া সত্ত্বেও প্রশাসনিক অব্যবস্থাপনার দরুণ মৃত্যুবরণ করেছেন পূর্ব তুর্কীস্তানের বেশ কিছু মুসলিম। উইঘুর মুসলিমদের অভিযোগ, দখলদার কর্তৃপক্ষ উইঘুর ভাষায় “জরুরি পরিষেবা” না দেয়ায় চিকিৎসার অভাবে এসব প্রাণহানির ঘটনা ঘটছে।
পূর্ব তুর্কীস্তানের ঘুলজা শহরের ইমার্জেন্সি রিলিফ কমান্ড সেন্টারের একজন কেরানি রেডিও ফ্রি এশিয়াকে বলেন, “অনেক উইঘুর মুসলিম জরুরী সেবা পেতে ফোন দিয়েছিলেন। কিন্তু তাদের সাথে কথা বলার জন্য কোনও উইঘুরভাষী আমাদের এখানে নেই।”
তিনি আরও বলেন, “উইঘুর-ভাষীদেরকে প্রথমে আমরা পার্শ্ববর্তী দ্বিভাষিক কমিটির কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলি। এরপর সেই কমিটির কর্মকর্তারা আমাদের ফোন করলে আমরা পুরো ব্যপারটি বুঝতে পারি।”
কখনও কখনও ভাষার এই সমস্যার জন্য জরুরী পরিষেবা পেতে ঘন্টার পর ঘন্টাও অপেক্ষা করতে হয় বলে জানিয়েছেন স্থানীয় উইঘুর মুসলিমরা। এই ধরনের অসুবিধার কারণে খোরগাস শহরেও বেশ কিছু মুসলিম মৃত্যুবরণ করেছেন বলেও জানিয়েছেন তারা।
উল্লেখ্য, ঘুলজা শহরে প্রায় পাঁচ লাখ উইঘুর মুসলিম বসবাস করেন। সেখানে আগস্টের প্রথম দিক থেকেই লকডাউন জারি করে দখলদার চীন সরকার। উক্ত লকডাউনে প্রশাসনের অবহেলায় অনাহার ও ঔষধের অভাবে মৃত্যু হয়েছে সেখানকার শত শত মুসলিমের।
দখলদাররা সম্প্রতি সেখানে লকডাউন তুলে নিয়েছে। তা সত্ত্বেও মুসলিমদের মৃত্যুর মিছিল থামেনি। চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের বরাতে জানা গেছে যে, “উইঘুর-ভাষার জরুরি পরিষেবার” অভাবে মৃত্যুবরণ করছে সেখানকার মুসলিমরা।
মূলত, উইঘুর মুসলিমদের উপর জোরপূর্বক চীনা ভাষা চাপিয়ে দিতে উইঘুর ভাষাকে সীমিতকরণ করার প্রক্রিয়া চালাচ্ছে দখলদার চীনা প্রশাসন। একারণেই উইঘুর ভাষায় কোন জরুরি পরিষেবার ব্যবস্থা করা হয়নি।
তথ্যসূত্রঃ
———
1. Lack of Uyghur-language emergency services leads to more deaths in Xinjiang
– https://tinyurl.com/595rvycp
জরুরি পরিষেবা” না দেয়ায় চিকিৎসার অভাবে এসব প্রাণহানির ঘটনা ঘটছে, আমাদের করনিও কাজ করত হবে