মুসলিম বিশ্বের অন্যতম ও পবিত্র আল-আকসার ভূমি ফিলিস্তিন। এর সাথে মিশে আছে মুসলিমদের আবেগ ও ভালোবাসা। আর এই পবিত্র ভূমি থেকেই মুসলিমদের উৎখাত করে তা দখল করে চলেছে অভিশপ্ত ইহুদিরা। মুসলিমদের থেকে দখলকৃত এই ভূমিতে তারা প্রতিষ্ঠা করেছে অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইল। এর ফলে সেখানে প্রতিদিনই মুসলিম ও ইহুদি দখলদার মাঝে সংঘাত ও সংঘর্ষ হচ্ছে।
ফিলিস্তিনিরা পবিত্র এই ভূমি রক্ষায় যুগ যুগ ধরে দলগত ও একভাবে লড়াই করে যাচ্ছেন। এর ধারাবাহিকতায় গত ২০২২ সালে ইহুদিদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরণের সশস্ত্র প্রতিরোধ উল্লেখযোগ্যভাবে এবং গুণগতভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে; বিশেষ করে অধিকৃত পশ্চিম তীর এবং অধিকৃত জেরুজালেমে। ২০২২ সালে ফিলিস্তিনিদের সশস্ত্র এই প্রতিরোধ ইহুদিদের জন্য অধিকৃত পশ্চিম তীরে একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে। কারণ গত বছর ফিলিস্তিনিরা শত শত প্রতিরোধমূলক হামলা এবং ইহুদিদের বিরুদ্ধে কয়েক শতাধিক সশস্ত্র সংঘর্ষে জড়িয়েছেন। যা ফিলিস্তিনের ভূমিতে দখলদার ইসরাইলি সৈন্য ও অবৈধ ইহুদি বসতি স্থাপনকারীদের আতঙ্কিত করে তুলেছে আলহামদুলিল্লাহ্।
প্যালেস্টাইন ইনফরমেশন সেন্টার ২০২২ সালে এধরণের শতাধিক সশস্ত্র সংঘর্ষ সহ ১২,১৮৮ টিরও বেশি প্রতিরোধের ঘটনা শনাক্ত করেছে। যেসব সশস্ত্র সংঘর্ষের ঘটনায় ৩১ এর বেশি দখলদার ইসরায়েলি ইহুদী নিহত হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই সৈন্য, এবং ৫২৫ এরও বেশি আহত হয়েছে। তবে হতাহতের এই সংখ্যা আরও কয়েকগুণ বেশি বলে ধারণা করা হচ্ছে, কেননা ইহুদিরা তাদের হতাহতের সঠিক সংখ্যা সবসময়ই গোপন করার চেষ্টা করেছে। বিশেষ করে ইহুদি নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোতে পরিচালিত হামলার ঘটনায় হতাহতের সঠিক সংখ্যা তারা সবসময়ই গোপন করার চেষ্টা করেছে। যাইহোক ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামীদের এসব অভিযানের মধ্যে ৮৪৮টি গুলিবর্ষণ, ৩৭টি ছুরিকাঘাত, ১৮টি গাড়ির সংঘর্ষ এবং বোমা বিস্ফোরণের বেশ কয়েকটি ঘটনা রয়েছে।
সবমিলিয়ে গত এক বছরে ব্যক্তিগত প্রতিরোধ, লোন-উলফ ও গেরিলা হামলার প্রবণতা পশ্চিম তীর, জেরুজালেম এবং দখলকৃত পশ্চিমাঞ্চলে দখলদার ইহুদিদের লক্ষ্য করে অধিক পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে; যা দখলদার ইসরায়েলের বিরুদ্ধে স্ফুলিঙ্গ হিসাবে কাজ করেছে। এরপর রয়েছে ইহুদিদের সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে ফিলিস্তিনি বিভিন্ন প্রতিরোধ ও স্বাধীনতাকামী সংগঠনের সশস্ত্র অভিযান। তাঁরা ভারী রকেট ও মিসাইল দ্বারা ইহুদিদের আঘাত করেছেন। এর মাধ্যমে তাঁরা ইসরায়েলের অনেক সামরিক দূর্গ ও অবৈধ বসতি গুড়িয়ে দিয়েছেন- আলহামদুলিল্লাহ।
প্রতিবেদক : আলী হাসনাত