ফিলিস্তিনিদেরকে যত্রতত্র গুলি করে হত্যা করতে পারবে বেসামরিক ইসরাইলি ইহুদিরা। সহজেই ইসরাইলিদের পক্ষে আগ্নেয়াস্ত্র বহন করার আইন পাশ করে এ সুযোগ দিতে যাচ্ছে দখলদার ইসরাইল। এর ফলে ভীতির সঞ্চার হয়েছে দখলিকৃত পশ্চিম তীর এবং পূর্ব জেরুজালেমের ফিলিস্তিনি মুসলিমদের মনে।
গত ২৯ জানুয়ারি রবিবার ইসরাইলি মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ ব্যাপারে ‘সবুজ সংকেত’ দিয়েছে দখলদার প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। জানা যায়, খুব শিগগিরই অবৈধভাবে রাখা ব্যক্তিগত অস্ত্রের অনুমতি দেবে তারা। লাইসেন্স পাওয়ার প্রক্রিয়াও সেক্ষেত্রে শিথিল করা হবে। স্বল্পতম সময়ে আগ্নেয়াস্ত্রের জন্য আবেদনকারী ইহুদিরা পাবে ছাড়পত্র।
এছাড়াও পশ্চিম তীরে অবৈধ দখলদারিত্ব আরও শক্তিশালী করার জন্য পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে ইসরাইল। আর দখলকৃত পশ্চিম তীরে আরও বাড়ানো হবে উচ্ছেদ অভিযান। সেসব জায়গায় শিগগিরই গড়ে তোলা হবে ইহুদি বসতি।
দখলদার ইসরাইল স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ আগ্রাসন চালাচ্ছে ফিলিস্তিনে। মাত্র এক মাসেই ৩০ এর অধিক ফিলিস্তিনিকে খুন করেছে ইহুদি বাহিনী। তাদের এবারের লক্ষ্য পবিত্র আল-আকসা পরিপূর্ণ দখল করে সেখানে কথিত টেম্পল তৈরি করা। এ জন্যই এসব আগ্রাসন পরিচালনা করছে দখলদার ইসরাইল।
আর এমন বর্বরোচিত আগ্রাসন এমন সময় তীব্র আকার ধারণ করতে যাচ্ছে, যখন সাধারণ ইহুদিরা পর্যন্ত প্রকাশ্যে দ্বিতীয় নাকবা বা মুসলিম গণহত্যা শুরুর হুমকি দিচ্ছে। সেই সাথে আবার ইহুদের হাতে অস্ত্র পৌঁছানোর প্রক্রিয়া সহজ করে দিচ্ছে ইসরাইল সরকার। আসন্ন বিপর্যয়ের ধারণাগুলো এমন স্পষ্ট হওয়া সত্বেও কথিত মানবাধিকারের ধ্বজাধারীরা নীরব হয়ে বসে আছে; নামধারী মুসলিম শাসকরাতো আরও আগে থেকেই নীরব।
তথ্যসূত্র:
——-
1. Netanyahu gives Israelis ‘green light to shoot Palestinians’
– https://tinyurl.com/yc8e2w63