সম্প্রতি পশ্চিম আফ্রিকার দেশ বুরকিনা ফাসোর উত্তরাঞ্চলে সামরিক সক্ষমতা আগের যেকোন সময়ের তুলনায় বৃদ্ধি করেছে আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট ইসলামি প্রতিরোধ যোদ্ধারা। আর তাতেই প্রতিনিয়ত অসংখ্য বুরকিনান সেনা হতাহতের শিকার হচ্ছে, সেই সাথে বাড়ছে মুজাহিদিন নিয়ন্ত্রিত ভূমির পরিধিও।
বুরকিনা ফাসোর সামরিক সূত্রের বরাতে জানা গেছে, গত ৯ ফেব্রুয়ারি বুধবার দেশের সেন্টার-নর্ড অঞ্চলের নামেনটেঙ্গা জেলায় একটি সশস্ত্র হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলাটি সেনাবাহিনী ও মিলিশিয়াদের একটি যৌথ সামরিক কাফেলা টার্গেট করে চালানো হয়।
সূত্রমতে, ইসলামি প্রতিরোধ যোদ্ধারা প্রথমেই শত্রুবাহিনীকে টার্গেট করে আইইডি বিস্ফোরণ ঘটিয়ে সড়ক অবরোধ করেন, তার পরপরই শত্রুর সামরিক কাফেলায় অতর্কিতে হামলা চালানো হতে থাকে। সামরিক সূত্রটি জানায়, সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে পরিচালিত অতর্কিত এই হামলার ফলে সামরিক জান্তার ৭ সৈন্য এবং ৯ মিলিশিয়া সদস্য নিহত হয়েছে।
অপরদিকে স্থানীয় গণমাধ্যম সূত্র বলছে, আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট জামা’আত নুসরাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিনের সাথে যুক্ত যোদ্ধাদের একটি আঞ্চলিক দল এই হামলাটি চালিয়েছেন। এই হামলায় সেনাবাহিনীর অন্তত ১১ সৈন্য এবং মিলিশিয়াদের মধ্য থেকে অন্তত ১৫ সৈন্য নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে আরও কয়েক ডজন।
উল্লেখ্য যে, আল-কায়েদার পশ্চিম আফ্রিকান শাখা, জামা’আত নুসরাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন (জেএনআইএম) সম্প্রতি এই অঞ্চলে সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে সক্রিয়ভাবে আক্রমণ চালাচ্ছেন।
বিশেষ করে গত বছর মালিতে ফ্রান্সের সামরিক উপস্থিতি শেষ হওয়ার সাথে সাথে মুজাহিদগণ মালি, বুরকিনা ফাসো ও পশ্চিম আফ্রিকার আরও কয়েকটি দেশে তাদের প্রভাব বলয় বাড়িয়েছেন আলহামদুলিল্লাহ্। এর ফলে মালির ৭০ শতাংশ এবং বুরকিনা ফাসোর ৪০-৫০ শতাংশ এলাকার উপর একক নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে সরকারি বাহিনী। আর এসব এলাকায় আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট ‘জেএনআইএম’ প্রশাসন নিজেদের সক্রিয় করে তুলেছে, যেখানে তাঁরা ইতিমধ্যে একটি প্রশাসনিক কাঠামো দাঁড় করাতে সক্ষম হয়েছেন আলহামদুলিল্লাহ্।