ইয়েমেনে ইসলাম ও মুসলিমবিরোধী শক্তির উপর হামলা জোরদার করেছেন আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট ইসলামি প্রতিরোধ যোদ্ধারা। এতে প্রতি সপ্তাহেই ইসলামবিরোধী শক্তির অসংখ্য সৈন্য নিহত এবং আহত হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রমতে, গত সপ্তাহেও মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটিতে প্রায় অর্ধডজন হামলা চালিয়েছেন আল-কায়েদা আরব উপদ্বীপ শাখা আনসারুশ শরিয়াহ্’র প্রতিরোধ যোদ্ধাগণ। এরমধ্যে সবচাইতে সফল হামলাটি চালানো হয়েছে গত ৮ ফেব্রুয়ারি ইয়েমেনের আবইয়ানের আল-বাকিরা এলাকায়।
হামলার শুরুতেই কুখ্যাত আরব আমিরাত সমর্থিত গাদ্দার মিলিশিয়া বাহিনীর একটি বহরকে টার্গেট করে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন আইইডি বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। তারপর আগে থেকেই পজিশন নিয়ে থাকা মুজাহিদগণ গাদ্দার মিলিশিয়াদের কাফেলায় অতর্কিত হামলা চালাতে শুরু করেন।
ফলাফলস্বরূপ, মিলিশিয়াদের একটি গাড়ি ধ্বংস হয়ে যায় এবং তাতে থাকা ৭ সৈন্য নিহত হয়। নিহতদের মাঝে সামরিক বাহিনীর পঞ্চম ব্রিগেডের অপারেশনাল ফোর্সের প্রধান কর্নেল আবদুল্লাহ, কমান্ডার সা’আদ বারজেলা এবং কমান্ডার মুশাল আল-আয়ানিও রয়েছে। এই হামলায় অন্য গাড়িগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং সেগুলোতে থাকা সৈন্যরা হতাহত হলে দ্রুত ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যায়।
বরকতময় এই হামলার আগে, গত ৫ ফেব্রুয়ারি তারিখেও আবইয়ানের ওমরান উপত্যকায় আরও একটি সফল হামলা চালিয়েছেন মুজাহিদগণ। হামলায় ৩টি মর্টার শেল দ্বারা মিলিশিয়াদের একটি অবস্থানকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল। এতে শত্রু অবস্থানের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় এবং অনেক সৈন্য হতাহত হয়।
এমনিভাবে গত ২ ফেব্রুয়ারি ওমরান উপত্যকায় আরও একটি সফল হামলা চালিয়েছেন মুজাহিদগণ। এই হামলাটি আরব আমিরাত সেনাবাহিনীর অন্তর্গত একটি সামরিক দলকে লক্ষ্য করে চালানো হয়েছিল। প্রথমে শত্রুদলকে লক্ষ্য করে বোমা বিস্ফোরণ ঘটান মুজাহিদগণ, পরে তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়। ফলশ্রুতিতে শত্রু বাহিনীর বহু সৈন্য হতাহতের শিকার হয়, তবে হতাহতের সুনির্দিষ্ট সংখ্যা জানা যায়নি। হামলায় আহত শত্রুসেনাদের অধিকাংশের অবস্থাই ছিলো গুরুতর।