আল-কায়েদার পশ্চিম আফ্রিকা শাখা জামা’আত নুসরাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন (জেএনআইএম) গত শাবান মাসে উপকূলীয় দেশগুলোতে বেশ কয়েকটি সফল সামরিক অপারেশন পরিচালনা করছেন। এসব অপারেশনে অন্তত ১০৪ শত্রুসেনা নিহত হয়েছে এবং আহত হয়েছে আরও অন্তত ১৫ জন।
জেএনআইএম এর অফিসিয়াল মিডিয়া সূত্র থেকে জানা গেছে, মুজাহিদগণ মালি, বুরকিনা ফাসো ও নাইজারের ত্রিভুজ সীমান্ত অঞ্চলে শত্রুদের লক্ষ্য করে কয়েক ডজন সফল অভিযান পরিচালনা করছেন।
তবে এসব অভিযানের পরে ঘটনাস্থলে পড়ে থাকা হতাহত শত্রুদের পরিসংখ্যানই কেবল মুজাহিদগণ তালিকাভুক্ত করতে সক্ষম হয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে প্রকৃত হতাহতের সংখ্যা আরও অনেক বেশি।
সূত্রটি আরও নিশ্চিত করেছে যে, এসব অভিযানে মুজাহিদগণ ২ শত্রু সৈন্যকে বন্দী করেছেন। পাশাপাশি ৭টি গাড়ি, ১৩৪টি মোটর সাইকেল, বিভিন্ন ক্যালিবারের ১১১টি মাঝারি ও ভারি অস্ত্র, ৪৬টি পিস্তল, ১টি আরপিজি ও ১টি ড্রোনসহ অসংখ্য গোলাবারুদ ও সামরিক সরঞ্জাম গনিমত পেয়েছেন।
এই রিপোর্ট প্রকাশের পর, জেএনআইএম মালি ও বুরকিনা ফাসোতে শাবান মাসে তাদের পরিচালিত আরও ৩টি অপারেশনের তথ্য নিশ্চিত করেছে। এসব অপারেশনেও আরও অনেক সৈন্য হতাহত হয়েছে। এছাড়া ১৬টি অস্ত্রসহ অনেক গোলাবারুদ গনিমত লাভ করেছেন মুজাহিদগণ।
উল্লেখ্য যে, ২০১৭ সালে কয়েকটি সশস্ত্র ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত হয় ‘জেএনআইএম’। এরপর থেকে প্রতিরোধ বাহিনীটি মালিসহ আশেপাশের উপকূলীয় দেশগুলোতে অভিযান জোরদার করেছে। মুজাহিদ নিয়ন্ত্রিত কিদাল রাজ্যের গভর্নরের মতে, মুজাহিদগণ ২০১৩ সাল থেকে বিশ্বের ৬৪টি দেশের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বীরত্বের সাথে লড়াই করে আসছেন। ইতিমধ্যে অনেক দেশ তাদের সেনাদের প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়েছে।
alahamdulillah..