সোমালি-কেনিয়ান ফ্রন্ট লাইনে ইসলামবিরোধী শক্তির বিরুদ্ধ হারাকাতুশ-শাবাব আল মুজাহিদিন বড় ধরণের সামরিক আঘাত হানতে শুরু করেছে। কেনিয়ার মুল ভূখণ্ডের ভিতরেও এখন লাগাতার অভিযান পরিচালনা করে যাচ্ছেন ইসলামি প্রতিরোধ যোদ্ধারা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী হারাকাতুশ শাবাব গত ১৪ জুলাই স্থানীয় সময় রাত ১টা ৩০ এর দিকে কেনিয়ার মুল ভূখণ্ডে সামরিক অভিযান শুরু করেছে। কেনিয়ার মান্দেরা রাজ্যের ওয়ারগাদুদ শহরে অবস্থিত সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে এই অভিযানটি শুরু করা হয়। এই অভিযানের প্রথম লক্ষ্যযুক্ত উক্ত সামরিক ঘাঁটিটি সোমালি ভূখণ্ড থেকে প্রায় ৪৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
উক্ত সামরিক ঘাঁটিটিতে কেনিয়ান বাহিনীর দুটি সামরিক ইউনিট অবস্থান করেছিল। অভিযান শুরুর পরে কেনিয়ান বাহিনী ভারি ক্ষয়ক্ষতি স্বীকার করে ঘাঁটি থেকে পলায়ন করে, ফলে ঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ আশ-শাবাবের হাতে চলে আসে।
ঘাঁটির অভ্যন্তরে থাকা সাঁজোয়া যান, অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জামও জব্দ করেন মুজাহিদগণ। এছাড়াও অনেক সাঁজোয়া যান বিকল করে দেওয়ার পাশাপাশি এই শহরে কেনিয়ান সরকারের টেলিযোগাযোগ সুবিধাগুলোও ধ্বসিয়ে দেন তাঁরা।
এরপর শাবাব মুজাহিদিন রাতভর এই অঞ্চলে অবস্থিত কেনিয়ান বাহিনীর অন্যান্য ছোট-বড় সামরিক ঘাঁটিগিলোতে একযোগে বোমাবর্ষণ ও অতর্কিত অভিযান চালাতে থাকেন। এই অভিযানের ধারাবাহিকতায় প্রতিরোধ যোদ্ধারা পরের দিন (১৫ জুলাই) দুপুর নাগাদ ওয়ারগাদুদ শহর এবং এর আশপাশের এলাকাগুলো সহ উক্ত অঞ্চলের সমস্ত সামরিক ঘাঁটি ও স্থাপনা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছেন।
এই যুদ্ধে আশ-শাবাবের হাতে নিহত এবং আহত হয়েছে অসংখ্য কেনিয়ান সৈন্য, যাদের সঠিক সংখ্যা এখনো জানা যায় নি। কেননা গোটা মান্দিরা অঞ্চল জুড়ে যুদ্ধ তীব্র আকার ধারণ করেছে। রাজ্যটির আরও কয়েকটি এলাকাতেও একযোগে অভিযান চালাচ্ছেন মুজাহিদগণ।
আঞ্চলিক সূত্র জানায়, কেনিয়ার মাটিতে দেশটির শহর কেন্দ্রীক শক্তিশালী সামরিক ঘাঁটিতে শাবাবের প্রথম বড় আকারের কোনো অপারেশন ছিল এটি। এই অভিযানে শাবাবের শত শত প্রতিরোধ যোদ্ধা ভারী সব অস্ত্র শস্ত্র ও সাঁজোয়া যান নিয়ে কেনিয়ার ভূখণ্ডে প্রবেশ করেছেন।
ইতিমধ্যে শাবাব যোদ্ধারা একের পর এক কেনিয়ান বাহিনীর ছোট-বড় কয়েকটি সামরিক ঘাঁটি, ১টি শহর ও কয়েকটি এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন। আর এসব এলাকায় অবস্থিত সরকারি সদর দফতর, টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা, সামরিক ঘাঁটি ও সেনা চৌকিগুলো গুড়িয়ে দিয়েছেন। সেই সাথে মুজাহিদগণ এসব এলাকা থেকে কেনিয়ান সেনাবাহিনীর অনেক সামরিক যানবাহন, অস্ত্র, গোলাবারুদ এবং বিভিন্ন সামরিক সরঞ্জাম জব্দ করেছেন।
শাবাবের এই অভিযান পূর্ব আফ্রিকা অঞ্চলে তাদের কর্তৃত্বকে সুপ্রতিষ্ঠিত করবে বলেই প্রতীয়মান হয়। সেই সাথে এই অভিযান অত্র অঞ্চলে ইসলামি ইমারতের আনুষ্ঠানিক ঘোষণার প্রক্রিয়াকে আরও ত্বরান্বিত করবে।
আলহামদুলিল্লাহ