পশ্চিম আফ্রিকার বুরকিনা ফাসো সীমান্তসংলগ্ন দেশ টোগোর উত্তরাঞ্চলীয় সাভানেস অঞ্চলে দেশটির একটি সামরিক কনভয়ে অতর্কিত অভিযান পরিচালনা করেছেন আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট ইসলামি প্রতিরোধ যোদ্ধারা। এতে টোগোর সামরিক বাহিনীর ১২ সৈন্য নিহত হওয়ার পাশাপাশি আরও অনেক সৈন্য আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্রের মতে, গত ১৮ জুলাই মঙ্গলবার বুরকিনা ফাসোর দক্ষিণ সীমান্ত থেকে টোগোতে এই সামরিক অপারেশনটি চালানো হয়। অভিযানটি টোগোর সাভানেস অঞ্চলের কেপেন্ডজালে সেনাবাহিনীর একটি কনভয় লক্ষ্য করে চালিয়েছেন ভারী অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত ইসলামি প্রতিরোধ যোদ্ধারা। এতে অন্তত ১২ সৈন্য নিহত হয়েছে এবং আরও অনেক সৈন্য আহত হয়েছে। পরে আহতদেরকে দাপাং সিএইচআর শহরে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় সূত্র নিশ্চিত করেছে যে, আল-কায়েদার পশ্চিম আফ্রিকা শাখা জামা’আত নুসরাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিনই এই অভিযানটি চালিয়েছে। জেএনআইএমের প্রতিরোধ যোদ্ধারা এই অঞ্চলে স্থানীয়দের সমর্থন নিয়ে গত দুবছর ধরে কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। তাদের এই জনসমর্থনের পিছনে গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে এই অঞ্চলে মুসলিমদের উপর সামরিক বাহিনীর অন্যায়, আত্যাচার আর জুলুম।
স্থানীয়দের সমর্থন আর সীমান্তের অপর পারে বুরকিনা ফাসোতে নিজদের মজবুত অবস্থানের কারণে সামরিক বাহিনীর ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকছেন প্রতিরোধ যোদ্ধারা।
বর্তমানে দলটি বুরকিনা ফাসোর দক্ষিণ সীমান্ত থেকে টোগো এবং বেনিনে ছড়িয়ে পড়েছে, এসব অঞ্চলে তাঁরা দিনদিন সক্রিয় হয়ে উঠছেন।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি টোগোর রাষ্ট্রপতি গ্নাসিংবে ঘোষণা করেছে যে, দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রী মার্গুরাইট গনাকাড এবং সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অফ স্টাফ দাদজা মাঙ্গানাওয়ে প্রতিরোধ যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে কার্যকর হতে পারেনি। যার ফলশ্রুতিতে ২০২৩ সালের এপ্রিলে আমরা ৪০ জন সামরিক কর্মীকে হারিয়েছি এবং ভারী মূল্য দিয়েছি। আর একারণে তাদেরকে বরখাস্ত করা হয়েছে।