আফগানিস্তানের সম্ভাবনাময় অর্থনৈতিক খাত লিথিয়াম। বিশ্বের যেকোনো দেশের জন্য আফগানিস্তানের এই লিথিয়াম খাতে বিনিয়োগ করার সুযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির বর্তমান বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রী নুরুদ্দীন আজিজি হাফিজাহুল্লাহ।
রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে নুরুদ্দীন আজিজি বলেন, দেশের লিথিয়াম গবেষণা ও উন্নয়নের জন্য সহজলভ্য। এই মূল্যবান সম্পদ কাজে লাগাতে সকল দেশকে তিনি আফগানিস্তানে বিনিয়োগের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
নুরুদ্দীন আজিজি বলেন, “আফগানিস্তানের লিথিয়াম খাতে যেকোনো দেশ বিনিয়োগ করতে পারবে। কারণ লিথিয়াম আফগানিস্তানের মানুষের আশা-ভরসা। আমি চাই না এই সম্পদ কোনো একটা কোম্পানি, একটা দেশ, একজন বা ১০০ জন মানুষ অপচয় করুক।”
অর্থনীতিবিদগণ মনে করেন, আফগানিস্তানের লিথিয়াম খনি অতি গুরুত্বপূর্ণ ও কৌশলগত খনিজ। অর্থনীতিবিদ সায়েদ মাসুদ বলেন, “আফগানিস্তানের কৌশলগত খনিজগুলোর মধ্যে লিথিয়াম অন্যতম। এটি আফগানিস্তানের অর্থনীতিকে স্থিতিশীল রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তাই লিথিয়ামের ব্যাপারে যেকোনো চুক্তি হবে আফগানিস্তানের জন্য কৌশলগত পদক্ষেপ, কারণ এটি আফগানিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা ও পররাষ্ট্র নীতির সাথে সম্পৃক্ত।”
বিশ্বের সর্বাধিক লিথিয়ামের মালিক তিনটি দেশের একটি হচ্ছে আফগানিস্তান। তাছাড়া প্রযুক্তি জগতের ভবিষ্যৎ লিথিয়ামের উপর নির্ভরশীল। যদি এই খাতকে ভালোভাবে পরিচালনা করা হয় এবং যথোপযুক্ত শর্তের ভিত্তিতে চুক্তি করা যায়, তবে এটি আফগানিস্তানকে দারিদ্র্য থেকে মুক্ত করতে পারবে বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদ আজেরাখশ হাফিজি।
উল্লেখ্য, খনি ও পেট্রোলিয়াম মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুযায়ী চীনসহ বেশ কয়েকটি দেশ আফগানিস্তানের লিথিয়াম খনিতে বিনিয়োগ করার আগ্রহ দেখিয়েছে। ইতোমধ্যে ১০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে তারা। এই বিনিয়োগ লিথিয়ামের বিশ্ব বাজারে গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় হিসেবে আফগানিস্তানের আবির্ভুত হওয়ার সম্ভাবনাকে নিঃসন্দেহে আরও দৃঢ় করেছে।
তথ্যসূত্র:
1. Every Country Can Invest in Afghanistan’s Lithium Sector: Azizi
– https://tinyurl.com/yc8zhwm7
আল্লাহ তায়ালা তাদের কাজে বারাকাহ দিন ।