ফ্রান্সের স্কুলে মুসলিম ছাত্রীদের বোরকা পরা নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছে দেশটি। গত আগস্ট মাসে মুসলিম নারী শিক্ষার্থীদের স্কুলে বোরকা পরা নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। আর এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য দেশটির নতুন শিক্ষাবর্ষের প্রথম দিনকেই বেছে নিয়েছে তারা। ফলশ্রুতিতে গত ৪ সেপ্টেম্বর অন্তত ৫ শতাধিক স্কুলে মুসলিম বিরোধী এ আইন কার্যকরে নজরদারী শুরু করেছে ফরাসি কর্তৃপক্ষ।
ফরাসি শিক্ষামন্ত্রী গ্যাব্রিয়েল আটাল গণমাধ্যমকে জানায়, “৫১৩ টি প্রতিষ্ঠানকে বছরের শুরুতেই আমরা চিহ্নিত করেছিলাম, যেন বোরকা পরা নিয়ে কোনও উত্তেজনার সৃষ্টি না হয়। বোরকা নিষিদ্ধের প্রশ্নে স্কুলে সমস্যা দেখা দিলে প্রয়োজনে নির্দিষ্ট বিদ্যালয়গুলোতে স্কুল পরিদর্শক পাঠাব।”
মূলত ২০০৪ সাল থেকেই সরকারি স্কুলগুলোতে মুসলিম ছাত্রীদের মাথায় স্কার্ফ ও হিজাব পরার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রেখেছিল ফ্রান্স। এরপর ২০১০ সালে দেশটিতে নিকাব (পুরো মুখ ঢেকে রাখা বোরকা) পরা নিষিদ্ধ করা হয়। ঐ সময় নিষেধাজ্ঞার ব্যাখ্যায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছিল যে, স্কুলে শিক্ষার্থীরা ধর্মীয় পরিচয় বহন করে এমন চিহ্ন বা পোশাক পরতে পারবে না।
France's education minister has announced that Muslim girls will be banned from wearing Abayas, the loose fitting dresses, in state schools.
Muslim girls are already forced to remove hijab, but from September they'll also be forced to remove the Abaya too pic.twitter.com/25YAjhzMnR
— muslim daily (@muslimdaily_) August 28, 2023
এবারও সেই একই কথা বলছে কর্তৃপক্ষ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ধর্ম-নিরপেক্ষতা ও স্কুলের নিয়ম-কানুন ভঙ্গ করে বোরকা।
ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশী মুসলিম বসবাস করে ফ্রান্সে। আর ফ্রান্স সরকার কথিত বাক স্বাধীনতা ও ধর্মনিরপেক্ষতার অযুহাতে বারবারই ইসলাম ও মুসলিমদের ওপর চড়াও হচ্ছে। একের পর এক মুসলিম বিরোধী আইন করে মুসলিমদের ধর্ম পালনে বাধা সৃষ্টি করছে তারা।
তথ্যসূত্র:
১. ৫০০ স্কুলে নজরদারি, বোরকা নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত কার্যকর ফ্রান্সে
– http://tinyurl.com/4wr4zd7w