পাকিস্তানের কাবায়েলি অঞ্চলে জিহাদরত ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি) যেসকল এলাকায় তাদের অভিযান সবচেয়ে বেশি বিস্তৃত করেছে, ডেরা ইসমাইল খান বা ডিআই খান অঞ্চল তার মধ্যে অন্যতম। এখানে ইসলামি শরিয়া কায়েমের লক্ষ্যে আন্দোলনরত মুজাহিদদের বিরুদ্ধে তাই বিদেশি মদদপুষ্ট পাকিস্তান সামরিক বাহিনীও বেশ তৎপর।
গত ৩ নভেম্বর ডিআইখানের কালাচি জেলাস্থ টিটিপি মুজাহিদদের একটি অবস্থানে হামলা চালায় বিদেশি মদদপুষ্ট পাকিস্তানি বাহিনী। পাকিস্তান সামরিক বাহিনী সেখানে ড্রোন হামলা চালায়। ফলে সেখানে টিটিপির একজন কমান্ডার শাহাদাত বরণ করেছেন বলে জানিয়েছে টিটিপি সূত্র।
সেখানে মুজাহিদগণ হানাদার পাকিস্তানি বাহিনীর সাথে সংক্ষিপ্ত প্রতিরোধ যুদ্ধে লিপ্ত হন। ফলে অবশিষ্ট মুজাহিদ পাকিস্তানি বাহিনীর রেইড ভেঙে বের হন এবং নিরাপদ স্থানে সরে যেতে সক্ষম হন, আলহামদুলিল্লাহ্।
এর পরদিন অর্থাৎ ৪ ডিসেম্বরেই আবার ডিআইখানের ট্যাঙ্ক জেলাস্থ গুল ইমাম পুলিশ স্টেশনে একটি অভিযান পরিচালনা করেন ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী টিটিপির মুজাহিদগণ। প্রতিরোধ যোদ্ধারা উক্ত পুলিশ স্টেশনে রকেট হামলা চালান এবং লেজার গান দ্বারা আক্রমণ করেন। ফলে ঘটনাস্থলেই এক পুলিশ সদস্য নিহত হয় এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়।
এর পরদিন ৫ নভেম্বর তারিখে টিটিপি মুজাহিদরা আবার কালাচি জেলায় একটি পুলিশ চেকপোস্টে অভিযান পরিচালনা করেন। কালাচি জেলার রুরি এলাকাস্থ ঐ পুলিশ চেকপোস্টটিতে লেজার গান দিয়ে আক্রমণ চালান মুজাহিদগণ। এতে একজন পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হয়। মুজাহিদগণ সেখানে নজরদারির কাজে ব্যবহৃত একটি সিকিউরিটি ক্যামেরাও ধ্বংস করে দেন।
৬ নভেম্বর বিকেলে আবার ডিআই খান প্রদেশেরই পারওয়া জেলায় একটি সামরিক যান লক্ষ্য করে মাইন বিস্ফোরণ ঘটান ইসলামি প্রতিরোধ যোদ্ধারা। মার্বান জেলার কেরি শামুজি এলাকায় সংঘটিত ঐ মাইন বিস্ফোরণে সামরিক যানটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, এবং তাতে আরোহী সেনাসদস্যরা প্রায় সকলেই হতাহতের শিকার হয়। তবে হতাহতের সুনির্দিষ্ট পরিসংখ্যান জানা যায় নি।
পৃথক সংক্ষিপ্ত বিবৃতির মাধ্যমে ডেরা ইসমাইল খান প্রদেশে সংঘটিত উপরোক্ত প্রতিটি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তানের মুখপাত্র মুহাম্মাদ খুরাসানি (হাফি.)।
vai karo kase ki al kataib channel er link ase?