• গাজায় সন্ত্রাসী ইসরায়েলি বাহিনীর নির্বিচার বোমাবর্ষণ অব্যাহত রয়েছে। অব্যাহত রয়েছে ফিলিস্তিনিদের উত্তর গাজা ছেড়ে দক্ষিণ গাজায় স্থানান্তরিত হওয়ার ধারাবাহিকতা।
• কয়েকজন ইসরায়েলি বন্দীর বিনিময়ে গাজায় পাঁচ দিনের যুদ্ধ বিরতির আলোচনা চলছে, তবে সন্ত্রাসী ইসরায়েল যুদ্ধ বিরতির নিয়ে আলোচনার কথা অস্বীকার করেছে।
• ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আল-শিফা হাসপাতাল থেকে কমপক্ষে ৩১টি প্রি-ম্যাচিউর (অপরিণত) শিশু দক্ষিণ গাজার তাল আল-সুলতান হাসপাতালে এসেছে। সোমবার চিকিৎসার জন্য তাদেরকে মিশরে পাঠানো হবে।
• গাজার জেইতুন এলাকায় ইসরায়েলি হামলায় এক পরিবারের অন্তত ৪১ জন সদস্য নিহত হয়েছেন। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নিহত সদস্যের নামের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে।
• গাজায় আরও দুই সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। আল-জাজিরা জানিয়েছে, ৭ অক্টোবরের পর থেকে এখন পর্যন্ত অন্তত ৪৮ জন সাংবাদিক নিহত হয়েছে।
• কোন তথ্য-প্রমাণ ছাড়াই ইসরায়েলি বাহিনী দাবি করছে যে, আল-শিফা হাসপাতালে তারা একটি টানেল খুঁজে পেয়েছে।
• ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিচালক মুনির এল-বুরশ এক বিবৃতিতে হাসপাতালে ট্যানেল পাওয়ার ইসরায়েলি দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, “আল-শিফা হাসপাতালে টানেলের পাওয়ার ইসরায়েলি দাবি পুরোপুরি মিথ্যা।”
• লোহিত সাগরে ইসরায়েলি জাহাজ ও এর নাবিকদের আটক করেছে শিয়া হুথিরা। এই আটককে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন বলছে আমেরিকা। আমেরিকা আবার আন্তর্জাতিক আইনের অনেক বড় রক্ষক !
• সন্ত্রাসী ইসরায়েলি বাহিনী জানিয়েছে, তারা লেবানন সীমান্তে হিজবুল্লাহকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। তবে এ হামলায় কেউ হতাহত হয়েছে কিনা জানা যায়নি।
• সন্ত্রাসী ইসরায়েলের হামলায় গাজায় এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ১৩,০০০ ছাড়িয়েছে। নিহতদের মধ্যে অন্তত ৫,৫০০ জন শিশু, ৩,৫০০ জন নারী। আহত হয়েছেন ৩০,০০০ এরও বেশি ফিলিস্তিনি। সেই সঙ্গে ধংস্তুপের নিচে চাপা পড়েছে ৬,০০০ ফিলিস্তিনি। এর মধ্যে ৪,০০০ নারী ও শিশু। ইসরায়েলি হামলায় গণহত্যার শিকার হয়েছেন ১,৩৩০ টি পরিবার।
• দখলকৃত পশ্চিম তীরে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২০০ জনে দাঁড়িয়েছে। আহত হয়েছেন আরও ২,৭০০ জন ফিলিস্তিনি। এছাড়াও গ্রেফতার করা হয়েছে আড়াই হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনিকে। [১৯ নভেম্বর পর্যন্ত]