আফগানিস্তানের বিদ্যুতের চাহিদা পূরণে সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিমাণ বাড়ানোর চেষ্টা করছেন দেশটির জ্বালানি ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়। ইমারতে ইসলামিয়ার জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাতিউল্লাহ আবিদ বলেন, বিদ্যুতের সমস্যা সমাধান করতে পাঁচ বছর মেয়াদী একটি পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে। ১৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন দুটি সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প এই পরিকল্পনার আওতাধীন থাকবে।
জ্বালানি ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে, পাঁচ বছরের সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্রীক পরিকল্পনার মাধ্যমে আফগানিস্তানে বিদ্যুৎ ঘাটতির সমাধান হবে। হেরাত, ফারাহ, নানগারহার, পাকতিয়া, পাকতিকা ও নিমরুজ প্রদেশে বিদ্যুতের চাহিদাকে ঘিরে পাঁচ বছরের পরিকল্পনা করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, ৭৭টি তুর্কি কোম্পানিসহ দেশি-বিদেশি বিভিন্ন কোম্পানির সাথে সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়েছে।
জ্বালানি ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের তথ্য মতে, আফগানিস্তানের এখন ২ লাখ ২০ হাজার মেগাওয়াটেরও বেশি সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনের সুযোগ রয়েছে। কিন্তু এই খাতে এখনও তেমন বিনিয়োগ করা হয়নি।
দা আফগানিস্তান ব্রেশনা শেরকাতের সাবেক প্রধান আমানুল্লাহ গালেব বলেন, “সৌর শক্তি থেকে আফগানিস্তানের ২২২,০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা রয়েছে। কিন্তু এখানে কিছু সমস্যাও আছে। যেমন: বিদ্যুৎ উৎপাদন সুযোগ-সুবিধাসহ সমতল ভূমির অভাব। দেখা যায় কোথাও সমতল ভূমি ঠিকই আছে, কিন্তু (বিদ্যুৎ উৎপাদনের) সাবস্টেশন নেই।”
আফগানিস্তান সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদনের ভালো ঘাঁটি হতে পারে, এমন কথা বলছেন অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরাও। তারা এই খাতে আরও বেশি বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন।
মুহাম্মাদ বশির শাবিরি নামে এক অর্থনৈতিক বিশ্লেষক বলেন, “বছরে ৩০০ দিন সূর্যালোক থাকে আফগানিস্তানে। সৌর শক্তি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের এটি ভালো উপায়, ভালো সুযোগ। যদি আমরা সৌর শক্তিকে কাজে লাগিয়ে দেশের সমতল ভূমিতে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারি এবং বছরে ৩০০ দিন সূর্যালোক থাকে, তবে এই প্রচেষ্টা নিশ্চিতভাবেই দেশের বিদ্যুৎ ঘাটতি পূরণে আমাদের সাহায্য করবে।”
জ্বালানি ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় জানিয়েছেন, আগামী পাঁচ বছরে তারা বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়নে ৪ বিলিয়ন ডলার মূল্যের দুইশত প্রকল্প বাস্তবায়ন করবেন।
তথ্যসূত্র:
1. MoEW Seeking to Increase Solar Power
– http://tinyurl.com/3n2ry8w8