• পশ্চিম তীরের তুলকারেমে নূর শামস শরণার্থী শিবিরে দখলদার বাহিনীর ড্রোন হামলায় ৬জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
• উত্তর গাজায় নিহত হওয়া ৮০ ফিলিস্তিনির লাশ ফেরত দিয়েছে ইসরায়েল। গাজা সরকারী মিডিয়া অফিস জানিয়েছে যে, লাশগুলো থেকে বিভিন্ন অঙ্গ চুরি করে নেয়া হয়েছে। এমনকি সন্ত্রাসী ইসরায়েল তাদের ব্যাপারে কোন তথ্যই দিতে রাজি হয় নি। গাজাতে আসার পর লাশগুলোকে গণকবরে কবর দেওয়া হয়েছে।
• ফিলিস্তিনি টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি পালটেল জানিয়েছে, গাজায় আবারও সকল টেলিযোগাযোগ পরিষেবা বন্ধ হয়ে গেছে।
• জাতিসংঘের গাজায় বিষয়ক সাবেক সমন্বয়ক লিন হাস্টিংয়ের ভিসা প্রত্যাহার করেছে ইসরায়েল। সহায়তা কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি করায় তিনি ইসরায়েলের সমালোচনা করেছিলেন। এজন্য ইসরায়েল তার ভিসা প্রত্যাহার করে। এখন গাজাতে সহায়তা কার্যক্রমের সিনিয়র সহযোগী হিসেবে সিগরিদ কাগকে নিয়োগ দিয়েছে জাতিসংঘ। সিগরিদ ছিলেন নেদারল্যান্ডের সাবেক উপ-প্রধানমন্ত্রী।
• গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি বিমান বাহিনী ১০০ অবস্থানে হামলা করেছে। সন্ত্রাসী নেতানিয়াহু বলেছে, ইসরায়েলি বাহিনী যুদ্ধের তীব্রতা কমাবে না। তারা এখন দক্ষিণ গাজায় গভীর অপারেশন চালাবে!
• ইসরায়েলি বাহিনীর চিফ অব স্টাফ হারজি হালেভি বলেছে, গাজা যুদ্ধ ‘অনেক মাস’ চলবে।
• সন্ত্রাসী ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত গাজায় নিহত হয়েছেন ২০,৯১৫ জন ফিলিস্তিনি।
• ২৬শে ডিসেম্বরে যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েলি জোটের বিরুদ্ধে চালানো অভিযানসমূহের সংক্ষিপ্ত বিবরণ:
ইয়েমেনি সশস্ত্র বাহিনী:
– বাণিজ্যিক এমএসসি ইউনাইটেড জাহাজের উপর অ্যান্টি-শিপ ব্যালিস্টিক মিসাইল দিয়ে হামলা
– উম্মুল রাশরাশ (এইলাত) এলাকায় দখলদার বাহিনীর সামরিক সম্পদের উপর সুইসাইড ড্রোন দিয়ে হামলা
আল-কাসসাম ব্রিগেড:
– গাজায় তিনটি মারকাভা ট্যাংক, ১টি সামরিক ডি৯-বুলডোজার, এবং ১টি এপিসি (আংশিকভাবে) ধ্বংস করেছেন।
– আল-বুরেইজ ক্যাম্পে একদল জায়োনিস্ট সৈন্যসহ একটি এপিসিতে হামলা চালিয়েছেন। হতাহতের শিকার হয়েছে শত্রুবাহিনী। জায়োনিস্ট বাহিনীকে উদ্ধারে একটি সামরিক হেলিকপ্টার এসেছে সেখানে।
– আল-বুরেইজ ক্যাম্পে ৮ সদস্যের জায়োনিস্ট বাহিনীর উপর বিস্ফোরক হামলা চালিয়েছেন। এতে শত্রুবাহিনী হতাহত হয়েছে।
আল-কুদস ব্রিগেড:
– আল-কাসসাম ব্রিগেডের সাথে একটি যৌথ অভিযানে অংশ নিয়ে জাবালিয়া এলাকায় ৫টি সামরিক যানে হামলা চালিয়েছেন।
– জুহর আল-দিকে শত্রু অবস্থানে মর্টার হামলা চালিয়েছেন।
– শেখ রেদওয়ান এলাকায় আরপিজি দিয়ে দখলদার বাহিনীর ২টি সামরিক যান আংশিকভাবে ধ্বংস করেছেন।
– খান ইউনিসের আবাসান এলাকায় শত্রু অবস্থানে ৬০ মিমি ক্যালিবার মর্টার হামলা চালিয়েছেন।
শহীদ আবু আলী মুস্তফা ব্রিগেড:
– রাফাহতে দখলদার বাহিনীর অবস্থানে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন মর্টার নিক্ষেপ করেছেন।
শহীদ উমার আল-কাসেম বাহিনী:
– খান ইউনিসে দখলদার বাহিনীর সাথে লড়াই করেছেন। আরবিজি গোলা ব্যবহার করে হামলা করেছেন শত্রুদের উপর। এতে দখলদার বাহিনী হতাহতের শিকার হয়েছে।
– বুরেইজে দখলদার বাহিনীর গাড়ি রাখার স্থানে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কিছু মর্টার নিক্ষেপ করেছেন।
আল-আকসা শহীদি ব্রিগেড:
– বিভিন্ন যুদ্ধক্ষেত্রে দখলদার বাহিনীর ৫টি সামরিক যান আংশিকভাবে ধ্বংস করেছেন।
– কয়েকটি যুদ্ধক্ষেত্রে শত্রুবাহিনীর সাথে মেশিনগান ও আরপিজি দিয়ে লড়াই করেছেন।
– খান ইউনিসের পূর্বাঞ্চলে দখলদার বাহিনীর উপর উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন মর্টার নিক্ষেপ করেছেন।
– বিরকেত শেখ রেদওয়ান এলাকার কাছে একটি বাড়িতে অবস্থান নিয়েছিল দখলদার বাহিনী। সেই বাড়িতে দুর্গবিরোধী রকেট ও আরপিজি দিয়ে হামলা চালিয়েছেন আল-আকসা ব্রিগেডের যোদ্ধারা। এতে শত্রুবাহিনী হতাহতের শিকার হয়েছে।
– গত দুই দিনে খান ইউনিসের উত্তরাঞ্চলে দখলদার বাহিনীর কতিপয় সামরিক যানে আরপিজি দিয়ে সরাসরি আঘাত হেনেছেন আল-আকসা ব্রিগেডের যোদ্ধারা।
– জাবালিয়া ক্যাম্পে দখলদার বাহিনীর সাথে বুলেট ও আরপিজি ব্যবহার করে লড়াই করেছেন।