• ২৭ ডিসেম্বরে মধ্য গাজায় হামলা চালিয়ে নুসেইরাত ক্যাম্পে অন্তত ৭জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে সন্ত্রাসী ইসরায়েল।
• দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসে আল-আমাল হাসপাতালের কাছে বর্বরোচিত হামলা চালিয়েছে দখলদার ইসরায়েল। এতে অন্তত ২০ জন নিহত হয়েছেন। আল-মাগাঝিতে বিমান হামলা চালিয়ে আরও ৫জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে জায়োনিস্ট বাহিনী।
• ইসরায়েলি হামলা থেকে বাঁচতে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি খান ইউনিস ও মধ্য গাজা ত্যাগ করেছেন বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
• জাতিসংঘ বলেছে, সন্ত্রাসী ইসরায়েলের অব্যাহত হামলার কারণে গাজায় সহায়তা কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
• ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ২১,২২৬ জন ফিলিস্তিনি।
• ২৭শে ডিসেম্বর দখলদার বাহিনীর উপর ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের চালানো হামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ:
আল-কাসসাম ব্রিগেড:
– জাবালিয়ার পুরাতন গাজা স্ট্রিটের একটি ভবনে অবস্থান নিয়েছিল জায়োনিস্ট বাহিনী। মুজাহিদগণ তাদের উপর প্রথমবারের মতো আরপিও রকেট ব্যবহার করে হামলা চালিয়েছেন। এতে শত্রুবাহিনীর সন্ত্রাসী সৈন্যরা নিহত ও আহত হয়েছে।
– গাজা শহরের উত্তরে সোফা এলাকায় গত রাতে দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে ৬ ঘণ্টাব্যাপী লড়াই করেছেন মুজাহিদগণ। এই যুদ্ধে মেশিনগান, ইয়াসিন ১০৫, অ্যান্টি আর্মার ‘শোয়াজ’ বিস্ফোরক ডিভাইস, এবং টিবিজি ব্যবহার করেছেন মুজাহিদগণ।
– গাজা শহরের উত্তরাঞ্চলে বিমান বিধ্বংসী মিসাইল SAM-18 ব্যবহার করে দখলদার বাহিনীর ২টি হেলিকপ্টারে হামলা চালিয়েছেন মুজাহিদগণ।
– বিভিন্ন জায়গায় শত্রুদের ৪টি মারকাভা ট্যাংক, একটি এপিসি, ৫টি সামরিক ডি৯- বুলডোজার এবং ৭টি সামরিক যান আংশিক বা পুরোপুরি ধ্বংস করেছেন। এসব হামলায় অগণিত শত্রুসেনারাও হতাহত হয়েছে।
– খান ইউনিসের উত্তরে শত্রুশিবিরে উচ্চ শক্তিসম্পন্ন মর্টার নিক্ষেপ করেছেন।
আল-কুদস ব্রিগেড:
– নাহাল ওজে দখলদারদের উপর ১০৭মিমি রকেট ও মর্টার নিক্ষেপ করেছেন।
– মধ্য গাজার বুরেইজ ক্যাম্পের পূর্বে একটি বিস্ফোরক ডিভাইস দিয়ে শত্রুদের একটি মারকাভা ট্যাংক পুরোপুরি ধ্বংস করে দিয়েছেন।
– গাজা শহরে উড়ন্ত একটি জায়োনিস্ট ‘স্কাই রেসিং-নং ৫২’ ড্রোন ভূপাতিত করেছেন।
– তুফফাহ ও শেখ রেদওয়ান এলাকায় শত্রুদের ৩টি সামরিক যান আংশিকভাবে ধ্বংস করেছেন। দুটি যান ধ্বংসে ব্যবহার করা হয়েছে আরপিজি এবং আরেকটিতে ট্যান্ডেম রকেট।
– খান ইউনিসে দখলদার বাহিনীর ১০ সদস্যের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছেন। এতে এক শত্রুসেনা নিহত ও আরেকজন আহত হয়েছে।
শহীদ আবু আলী মুস্তফা ব্রিগেড:
– শেখ রেদওয়ান এলাকায় আরপিজি ব্যবহার করে একটি মারকাভা ট্যাংকে হামলা করেছেন।
– বুরেইজ ক্যাম্প ও শেখ রেদওয়ান এলাকায় প্রবেশের সময় দখলদার বাহিনীর সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছেন।
শহীদ উমার আল-কাসেম বাহিনী:
– খান ইউনিসে দখলদার বাহিনীর একটি সামরিক যানে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন বিস্ফোরক ডিভাইস দিয়ে হামলা চালিয়েছেন। এতে শত্রুদের কতিপয় সৈন্য নিহত ও আহত হয়েছে।
– শেখ রেদওয়ানের মার্কেট এলাকায় অনুপ্রবেশ করা দখলদার বাহিনীর সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছেন। এতে শত্রুসেনাদের কতিপয় হতাহত হয়েছে।
– গাজার দক্ষিণাঞ্চলের জুহর আল-দিকে জায়োনিস্ট বাহিনীর সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছেন।
আল-আকসা শহীদি ব্রিগেড:
– খান ইউনিসে এক জায়োনিস্ট সেনাকে স্নাইপার হামলার শিকার বানিয়েছেন প্রতিরোধ যোদ্ধারা।
– খান ইউনিসের পূর্বাঞ্চলীয় এলাকায় দখলদার বাহিনীর ৪টি সামরিক যান আংশিকভাবে ধ্বংস করেছেন।
– খান ইউনিসে দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে মেশিনগান ও আরপিজি দিয়ে যুদ্ধ করেছেন। এতে বেশকিছু শত্রুসেনা আহত ও নিহত হয়েছে।
শহীদ জিহাদ জিবরীল ব্রিগেড:
– খান ইউনিস, গাজা শহরের দক্ষিণাঞ্চলে এবং আল-বুরেইজের পূর্বাঞ্চলে দখলদার বাহিনীর সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছেন।
আল-আসিফাহ বাহিনী ( পিএলও-এর সাথে সম্পৃক্ত দল)
– খান ইউনিসের আল-জানা এলাকায় দখলদার বাহিনীর অবস্থানে ৬০মিমি ক্যালিবার মর্টার হামলা চালিয়েছে।
মুজাহিদিন ব্রিগেড:
– গাজা শহরে অনুপ্রবেশকারী দখলদার বাহিনীর সাথে কয়েকটি জায়গায় যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছেন।
– খান ইউনিসের পূর্বাঞ্চলের আল-ফারাহিন দখলদার অবস্থানে ভারী মর্টার হামলা চালিয়েছেন।