ফিলিস্তিনের জিহাদ || আপডেট – ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৩

- সাইফুল ইসলাম

0
284

২৭ ডিসেম্বরে মধ্য গাজায় হামলা চালিয়ে নুসেইরাত ক্যাম্পে অন্তত ৭জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে সন্ত্রাসী ইসরায়েল।

দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসে আল-আমাল হাসপাতালের কাছে বর্বরোচিত হামলা চালিয়েছে দখলদার ইসরায়েল। এতে অন্তত ২০ জন নিহত হয়েছেন। আল-মাগাঝিতে বিমান হামলা চালিয়ে আরও ৫জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে জায়োনিস্ট বাহিনী।

ইসরায়েলি হামলা থেকে বাঁচতে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি খান ইউনিস ও মধ্য গাজা ত্যাগ করেছেন বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

জাতিসংঘ বলেছে, সন্ত্রাসী ইসরায়েলের অব্যাহত হামলার কারণে গাজায় সহায়তা কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ২১,২২৬ জন ফিলিস্তিনি।

২৭শে ডিসেম্বর দখলদার বাহিনীর উপর ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের চালানো হামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ:

আল-কাসসাম ব্রিগেড:

জাবালিয়ার পুরাতন গাজা স্ট্রিটের একটি ভবনে অবস্থান নিয়েছিল জায়োনিস্ট বাহিনী। মুজাহিদগণ তাদের উপর প্রথমবারের মতো আরপিও রকেট ব্যবহার করে হামলা চালিয়েছেন। এতে শত্রুবাহিনীর সন্ত্রাসী সৈন্যরা নিহত ও আহত হয়েছে।
গাজা শহরের উত্তরে সোফা এলাকায় গত রাতে দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে ৬ ঘণ্টাব্যাপী লড়াই করেছেন মুজাহিদগণ। এই যুদ্ধে মেশিনগান, ইয়াসিন ১০৫, অ্যান্টি আর্মার ‘শোয়াজ’ বিস্ফোরক ডিভাইস, এবং টিবিজি ব্যবহার করেছেন মুজাহিদগণ।
গাজা শহরের উত্তরাঞ্চলে বিমান বিধ্বংসী মিসাইল SAM-18 ব্যবহার করে দখলদার বাহিনীর ২টি হেলিকপ্টারে হামলা চালিয়েছেন মুজাহিদগণ।
বিভিন্ন জায়গায় শত্রুদের ৪টি মারকাভা ট্যাংক, একটি এপিসি, ৫টি সামরিক ডি৯- বুলডোজার এবং ৭টি সামরিক যান আংশিক বা পুরোপুরি ধ্বংস করেছেন। এসব হামলায় অগণিত শত্রুসেনারাও হতাহত হয়েছে।
খান ইউনিসের উত্তরে শত্রুশিবিরে উচ্চ শক্তিসম্পন্ন মর্টার নিক্ষেপ করেছেন।

আল-কুদস ব্রিগেড:

নাহাল ওজে দখলদারদের উপর ১০৭মিমি রকেট ও মর্টার নিক্ষেপ করেছেন।
মধ্য গাজার বুরেইজ ক্যাম্পের পূর্বে একটি বিস্ফোরক ডিভাইস দিয়ে শত্রুদের একটি মারকাভা ট্যাংক পুরোপুরি ধ্বংস করে দিয়েছেন।
গাজা শহরে উড়ন্ত একটি জায়োনিস্ট ‘স্কাই রেসিং-নং ৫২’ ড্রোন ভূপাতিত করেছেন।
তুফফাহ ও শেখ রেদওয়ান এলাকায় শত্রুদের ৩টি সামরিক যান আংশিকভাবে ধ্বংস করেছেন। দুটি যান ধ্বংসে ব্যবহার করা হয়েছে আরপিজি এবং আরেকটিতে ট্যান্ডেম রকেট।
খান ইউনিসে দখলদার বাহিনীর ১০ সদস্যের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছেন। এতে এক শত্রুসেনা নিহত ও আরেকজন আহত হয়েছে।

শহীদ আবু আলী মুস্তফা ব্রিগেড:

শেখ রেদওয়ান এলাকায় আরপিজি ব্যবহার করে একটি মারকাভা ট্যাংকে হামলা করেছেন।
বুরেইজ ক্যাম্প ও শেখ রেদওয়ান এলাকায় প্রবেশের সময় দখলদার বাহিনীর সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছেন।

শহীদ উমার আল-কাসেম বাহিনী:

খান ইউনিসে দখলদার বাহিনীর একটি সামরিক যানে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন বিস্ফোরক ডিভাইস দিয়ে হামলা চালিয়েছেন। এতে শত্রুদের কতিপয় সৈন্য নিহত ও আহত হয়েছে।
শেখ রেদওয়ানের মার্কেট এলাকায় অনুপ্রবেশ করা দখলদার বাহিনীর সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছেন। এতে শত্রুসেনাদের কতিপয় হতাহত হয়েছে।
গাজার দক্ষিণাঞ্চলের জুহর আল-দিকে জায়োনিস্ট বাহিনীর সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছেন।

আল-আকসা শহীদি ব্রিগেড:

খান ইউনিসে এক জায়োনিস্ট সেনাকে স্নাইপার হামলার শিকার বানিয়েছেন প্রতিরোধ যোদ্ধারা।
খান ইউনিসের পূর্বাঞ্চলীয় এলাকায় দখলদার বাহিনীর ৪টি সামরিক যান আংশিকভাবে ধ্বংস করেছেন।
খান ইউনিসে দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে মেশিনগান ও আরপিজি দিয়ে যুদ্ধ করেছেন। এতে বেশকিছু শত্রুসেনা আহত ও নিহত হয়েছে।

শহীদ জিহাদ জিবরীল ব্রিগেড:

খান ইউনিস, গাজা শহরের দক্ষিণাঞ্চলে এবং আল-বুরেইজের পূর্বাঞ্চলে দখলদার বাহিনীর সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছেন।

আল-আসিফাহ বাহিনী ( পিএলও-এর সাথে সম্পৃক্ত দল)

খান ইউনিসের আল-জানা এলাকায় দখলদার বাহিনীর অবস্থানে ৬০মিমি ক্যালিবার মর্টার হামলা চালিয়েছে।

মুজাহিদিন ব্রিগেড:

গাজা শহরে অনুপ্রবেশকারী দখলদার বাহিনীর সাথে কয়েকটি জায়গায় যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছেন।
খান ইউনিসের পূর্বাঞ্চলের আল-ফারাহিন দখলদার অবস্থানে ভারী মর্টার হামলা চালিয়েছেন।

মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধআরও ৪৮ ইসরায়েলি সেনা নিহত, ধ্বংস ৩৫ সামরিক যান
পরবর্তী নিবন্ধআল-ফিরদাউস বুলেটিন || ডিসেম্বর ৪র্থ সপ্তাহ, ২০২৩ঈসায়ী