গাজায় দীর্ঘ ৮৮ দিন ধরে একের পর এক বর্বর বিমান হামলা চালাচ্ছে দখলদার সন্ত্রাসী ইসরায়েল। কাপুরুষিত এসব হামলায় প্রতিদিন শত শত নিরীহ বেসামরিক ফিলিস্তিনি খুন হলেও মুজাহিদদের রুখতে ব্যর্থ হচ্ছে দখলদার বাহিনী। গাজায় মুজাহিদের প্রতিরোধ হামলায় প্রতিদিন ডজন ডজন ইসরায়েলি সেনা হতাহত হচ্ছে। একারণে তাই ভিন্ন কূটকৌশলের পথ বেঁচে নিয়েছে ইসরায়েল।
গত ২ জানুয়ারি লেবাননের রাজধানী বৈরুতে হামাসের লেবানন কার্যালয়ে ড্রোন হামলা চালিয়েছে সন্ত্রাসী ইসরায়েলি বাহিনী। ইসরায়েলের এ হামলায় হামাসের প্রবীণ নেতা সালেহ আল-আরোরি নিহত হয়েছেন। আল-জাজিরা জানিয়েছে, ড্রোনটি হামাসের একটি অফিসে আঘাত হানে, এতে সালেহ আল-আরোরিসহ অন্তত সাতজন নিহত হয়েছেন।
ড্রোন হামলায় হামাসের সাত সদস্য নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে টেলিগ্রামে একটি বার্তা দিয়েছে হামাস। ওই বার্তায় জানানো হয়, ইসরায়েলি হামলায় হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর উপ-প্রধান সালেহ আল-আরোরি, কাসসাম ব্রিগেডের কমান্ডার সামির ফান্দি এবং আজ্জাম আল-আকরা, হামাস সদস্য মাহমুদ জাকি শাহিন, মোহাম্মদ বাশাশা, মোহাম্মদ আল-রায়েস এবং মোহাম্মদ হামুদ নিহত হয়েছেন।
তবে আল-আরোরি সহ অন্য ফিলিস্তিনিদের মৃত্যু মুজাহিদদের আরও শক্তিশালী করবে বলে জানিয়েছে হামাস। হামাস জানিয়েছে, ‘আল-আরোরি অনেক শক্তিশালী উত্তরসূরি রেখে গেছেন, যারা আমাদের ভূমিকে রক্ষা করবে। এসব গুপ্তহামলা ও আক্রমণ আমাদের আরও শক্তিশালী করবে, আমাদের আগের চেয়ে আরও বেশি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ করবে। এটা হলো প্রতিরোধ এবং আমাদের আন্দোলনের ইতিহাস। আমরা সবসময় আরও শক্তিশালী ও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হই।’
উল্লেখ্য যে, সালেহ আল-আরোরি হামাসের একজন ঊর্ধ্বতন নেতা ছিলেন। তিনি সামরিক বিষয়ে বেশ দক্ষ ছিলেন বলে জানা যায়। এর আগে তিনি অধিকৃত পশ্চিম তীরে হামাসের প্রধান ছিলেন। তিনি বেশ কয়েকবার ইসরায়েলিদের হাতে বন্দী হয়ে মোট ১৮ বছর ইসরায়েলি কারাগারে বন্দী থেকেছেন। সর্বশেষ ২০১০ সালে এক ইসরায়েলি সৈন্যের মুক্তির বিনিময়ে তিনি ছাড়া পেয়েছিলেন।
তথ্যসূত্র:
1. Senior Hamas official Saleh al-Arouri killed in Beirut suburb
– http://tinyurl.com/yckuxnbk
2. Israeli army launches attacks on targets in Syria and Lebanon
– http://tinyurl.com/yweaptbj