পশ্চিম আফ্রিকার দেশ বুরকিনা ফাসোতে ঝড়ের বেগে বিজয়রথ ছুটিয়ে চলেছে প্রতিরোধ বাহিনী জেএনআইএম। দলটির যোদ্ধারা সম্প্রতি এক সন্ধ্যার অভিযানেই ৩টি সামরিক ঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন।
আয-যাল্লাকা ও স্থানীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী জামা’আত নুসরাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন (জেএনআইএম) যোদ্ধারা গত ৩০ ডিসেম্বর বুরকিনা ফাসোর নোনা অঞ্চলে বড় ধরণের একটি সামরিক অভিযান পরিচালনা করছেন। বিকাল ৪টায় শুরু হওয়া এই অভিযানে কয়েকটি সাঁজোয়া যান ও শতাধিক মোটরসাইকেল নিয়ে ভারী অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত কয়েক শতাধিক প্রতিরোধ যোদ্ধা অংশ গ্রহণ করেন। অভিযানের শুরুতেই এই অঞ্চলে অবস্থিত বুরকিনার জান্তা বাহিনীর সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে ৪টি শেল নিক্ষেপ করা হয়। এরপর জেএনআইএম যোদ্ধারা সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে টানা আড়াই ঘন্টার লড়াই শেষে সামরিক ঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ নেন।
সূত্র অনুযায়ী, এই অভিযানে বুরকিনার জান্তা বাহিনীর অন্তত ৩০ সৈন্য নিহত হয় এবং আরও কয়েক ডজন সৈন্য আহত হয়। আর গনিমত হিসাবে মুজাহিদরা জব্দ করেন ৫টি গাড়ি, ২টি দোশকা, ৮০টি ক্লাশিনকোভ, ৭টি পিকা এবং ৪টি আরপিজি। এছাড়াও ১৩২টি বুলেট বক্স, ২২টি ক্লাশিনকোভ গুলির বাক্স, ১৪টি পিকা চেইন, ৪টি দুশকা চেইন, ৪টি আরপিজি শেল এবং ৩২টি ওয়াকি-টকি সহ অসংখ্য সামরিক সরঞ্জাম মুজাহিদগণ জব্দ করেন।
নোনা সামরিক ঘাঁটিটি বিজয়ের পর, একই সন্ধ্যায় জেএনআইএম-এর আরও ২টি দল নামসেগেমা এবং রাজধানী ওয়াগাডুগুর পূর্বে অবস্থিত বাবা সামরিক ব্যারাকের দিকে অগ্রসর হতে শুরু করেন। মুজাহিদগণ ২টি এলাকাতে পৌঁছার আগেই ঐ অঞ্চলের সেনাদের কাছে নোনা সামরিক ঘাঁটির পতনের সংবাদ পৌঁছে। ফলে মুজাহিদদের বিশাল বাহিনী আসার সংবাদ পেয়েই বুরকিনান সেনারা প্রতিরোধ না করে পালিয়ে যায়। ফলে কোনো যুদ্ধ ছাড়াই এদিন মুজাহিদগণ আরও ২টি সামরিক ঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ নেন। সেই সাথে মুজাহিদগণ বেশ কিছু সামরিক গাড়ি, অসংখ্য অস্ত্র এবং গোলাবারুদ গনিমত হিসাবে অর্জন করেন।
জেএনআইএম’ যোদ্ধারা বিনা যুদ্ধে এই ঘাঁটিগুলো বিজয়ের পর, রাজধানীর নিকটতম শহর “কামিকাজ” এর প্রবেশদ্বারে অবস্থান গ্রহণ করেন। এসময় তাঁরা শহরের কেন্দ্রে মর্টার শেল নিক্ষেপ করতে থাকেন এবং শহরটি অবরোধ করতে পদক্ষেপ নিতে শুরু করেন। ধারণা করা হচ্ছে শহরটি ইতিমধ্যে অবরোধ করে রেখেছে ‘জেএনআইএম’ যোদ্ধারা। তাই যেকোনো সময় এই শহরটিতেও বুরকিনান বাহিনী পরাজিত হবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।