ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যুদ্ধ-বিধ্বস্ত গাজা ভূখণ্ডের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিসের আল-নাসের হাসপাতালে অক্সিজেনের অভাবে ১৬ ফেব্রুয়ারি, শুক্রবার পাঁচজন রোগী মারা গেছে। প্রায় এক সপ্তাহ ধরে ইসরায়েলি দখলদার সেনারা আল-নাসের হাসপাতাল ঘেরাও করে রাখার পর সেখানে অভিযান চালায়। বৃহস্পতিবার হাসপাতালে অভিযান চালানোর কয়েক ঘণ্টা আগে ইসরায়েলি বাহিনীর ছোড়া গুলিতে ডাক্তর ও চিকিৎসা কর্মী সহ কয়েক জন বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছে আরো বেশ কয়েক জন।
গাজাস্থ ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, “আমরা ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীকে রোগী এবং কর্মীদের জীবনের জন্য দায়ী করি, এই বিবেচনায় যে কমপ্লেক্সটি এখন সম্পূর্ণ তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।” হাসপাতালের জেনারেটর বন্ধ হয়ে গেছে এবং বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে, নার্সারিতে নিবিড় পরিচর্যায় থাকা ছয় রোগী এবং তিন শিশুর অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক।
টেলিগ্রামে একটি বিবৃতিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে, দুইজন মহিলা “অমানবিক” পরিস্থিতিতে সন্তান জন্ম দিয়েছেন এবং ইসরায়েলি সৈন্যরা মহিলা ও শিশুদের কোনও জিনিসপত্র ছাড়াই প্রসূতি ইউনিট ছেড়ে যেতে বাধ্য করেছে।
একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেছেন, “ইসরায়েলি স্নাইপাররা হাসপাতালের অভ্যন্তরে স্থানান্তরিত যেকোন মানুষের উপর গুলি চালাচ্ছে। আশেপাশে থাকা ইসরায়েলি সামরিক যানগুলো থেকেও গুলি চালানো হচ্ছে।”
এদিকে ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস (এমএসএফ) বলেছে যে, তাদের কর্মীরাও ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর অনুপ্রবেশ ও গোলাগুলির ফলে রোগীদের পিছনে ফেলে পালাতে বাধ্য হয়েছে।
তারা আরও জানায় যে, ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী হাসপাতালের বাইরে চেকপোস্ট বসিয়ে হাসপাতাল ছেড়ে যাওয়া প্রত্যেক ব্যক্তিকে তল্লাশি করছে। আর সেখান থেকে তাদের এক সহকর্মীকে ইসরায়েলি বাহিনী আটক করে নিয়ে গেছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
তথ্যসূত্র:
1. At least five people dead after israeli army raid on nasser hospital
– http://tinyurl.com/mw2tm6j3