সম্প্রতি (১৮ ফেব্রুয়ারি) জাতিসংঘের আয়োজনে কাতারের রাজধানী দোহায় আফগান ইস্যুতে দুই দিনব্যাপী একটি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তান এতে যোগদান না করায়, সম্মেলন ব্যর্থ বলে মনে করা হচ্ছে।
সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার আগেই বেশ কিছু শর্তারোপ করেছিল ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তান প্রশাসন। জাতিসংঘ এসকল শর্তের একটিও মানেনি, ফলে ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানও সম্মেলনে যোগদান করেননি।
ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তান যেসব শর্ত প্রদান করেছিল এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে, উক্ত সম্মেলনে ইমারতে ইসলামিয়া প্রশাসন আফগানিস্তানের একমাত্র সরকারি দল হিসেবে যোগদান করবে। কিন্তু জাতিসংঘ ইমারতে ইসলামিয়া প্রশাসনের পরিবর্তে এমন কিছু ব্যক্তিকে সম্মেলনে আহ্বান করেছিল, যারা আফগানিস্তানের প্রতিনিধিত্ব করে না।
জাতিসংঘ আফগানিস্তানের জনগণ বা দেশটির কল্যাণে নয় বরং বরাবরই নিজস্ব এজেন্ডা বাস্তবায়ন করাকেই গুরুত্ব দিচ্ছে। আর এ জন্যই সংস্থাটি এমন কিছু লোককে সম্মেলনে অংশগ্রহণ করিয়েছে তারা না আফগানিস্তানের প্রতিনিধি, আর না তারা কখনো আফগান জনগণের জন্য কোন কল্যাণকর কাজ করেছে। এমনটাই মনে করছেন ইসলামি ইমারত কর্তৃপক্ষ।
এ ব্যাপারে ইমারতে ইসলামিয়ার উমারাগণ বলেছেন, ইমারতে ইসলামিয়া প্রশাসন দেশটি পরিচালনার জন্য কারো এজেন্ডা বা আদেশের অনুসরণ করে না। বরং ইমারতে ইসলামিয়া দোহা সম্মেলনে যোগদানের জন্য যে সকল শর্ত প্রদান করেছিল, এগুলো সম্পূর্ণরূপে দেশটির জাতীয় স্বার্থের উপর ভিত্তি করে প্রদান করা হয়েছিল।
গত আড়াই বছর ধরে আফগানিস্তানের ক্ষমতায় রয়েছে ইমারতে ইসলামিয়া প্রশাসন। এ সময়ের মধ্যে ইমারতে ইসলামিয়া প্রশাসনের নেতৃত্বে দেশটিতে নিরাপত্তা, অর্থনীতি, আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক বিষয় বেশ দক্ষতার সঙ্গে তাদের কর্মক্ষমতা প্রদর্শন করে চলেছে। দেশটির আভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা এখন যে পর্যায়ে রয়েছে, তা দেশটির ইতিহাসে নজিরবিহীন।
এছাড়াও ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তান প্রশাসন একটি স্বাধীন দেশ যেভাবে পরিচালনা প্রয়োজন এর সবকিছু নিয়মতান্ত্রিকভাবে দক্ষতার সাথে পরিচালনা করছেন। একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আফগানিস্তান এখন আর অন্য কোন রাষ্ট্রের ওপর নির্ভরশীল নয়।
অন্যদিকে ইমারতে ইসলামিয়া প্রশাসন এখন আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বেশ দক্ষতার সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে চলেছে। অথচ জাতিসংঘ এখনো ইমারতে ইসলামিয়া প্রশাসনকে আফগানিস্তানের একমাত্র সরকারি দল হিসেবে স্বীকৃতি দিতে অস্বীকার করছে।
এ ব্যাপারে ইমারতে ইসলামিয়ার উমারাগণ বলছেন যে, জাতিসংঘ যদি তাদের শর্ত মেনে নেয়ার ক্ষমতা না থাকে, তাহলে ইমারতে ইসলামিয়া এমন অর্থহীন সম্মেলনে যোগদান করাকে সময়ের অপচয় বলে মনে করে।
উমারাগণ আরও জানিয়েছেন, ইমারতে ইসলামিয়া প্রশাসন সম্মেলনে যোগদান না করে কোন ভুল বা ক্ষতি করেনি, বরং তাদের নিজস্ব স্বকীয়তা বজায় রেখেছে। ইমারতে ইসলামিয়া প্রশাসন দোহা সম্মেলনে যোগদানের জন্য সুনির্দিষ্ট কিছু বিষয়ের ওপর শর্তারোপ করেছিল। কিন্তু জাতিসংঘ শর্তে রাজি না হয়ে আসলে একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করেছে।
তবে উমারাগণ আশা ব্যক্ত করে বলেছেন যে, ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তান সব সময় অর্থপূর্ণ ও পারস্পরিক আলোচনার জন্য তাদেরকে উন্মুক্ত রেখেছে। এমন একটি দিন আসতে পারে, যখন জাতিসংঘ ইমারতে ইসলামিয়ার শর্ত মেনে নিয়ে আবারও এ ধরনের বৈঠক করতে বাধ্য হবে।
তথ্যসূত্র:
1. Why Islamic Emirate not Participated in Doha Meeting?
– http://tinyurl.com/yhhp8vn6
2. Taliban refuses to join UN-sponsored meeting on Afghanistan
– http://tinyurl.com/bdzyykym
আমাদের মনের কামনা হলো আফগানিস্তান যেন সোমালিয়ার শাবাব, মালির জেএনআইএম, ইয়েমেনের একিউপি, পাকিস্তানের টিটিপিকে নিয়ে আলাদা জাতিসংঘ গঠন করে।হয়তো এতেই বিশ্বমুসলিম সঠিক মেসেজ পাবে।ও সফলতার দ্বার খুলবে ان شاء الله
ইনশাআল্লাহ
আমাদের মনের কামনা হলো আফগানিস্তান যেন সোমালিয়ার শাবাব, মালির জেএনআইএম, ইয়েমেনের একিউপি, পাকিস্তানের টিটিপি এবং এরুপ অন্যান্য মুজাহিদিনদের বিজিতঅঞ্চলের সরকারদেরকে নিয়ে আলাদা জাতিসংঘ গঠন করে।হয়তো এতেই বিশ্বমুসলিম সঠিক মেসেজ পাবে।ও সফলতার দ্বার খুলবে ان شاء الله
আমাদের মনের কামনা হলো আফগানিস্তান যেন সোমালিয়ার শাবাব, মালির জেএনআইএম, ইয়েমেনের একিউপি, পাকিস্তানের টিটিপিকে নিয়ে আলাদা জাতিসংঘ গঠন করে।হয়তো এতেই বিশ্বমুসলিম সঠিক মেসেজ পাবে।ও সফলতার দ্বার খুলবে ان شاء الله ভাইয়ের এই মতটি খুবই ভালো যাহা বিশ্ব নিপিরিত মুসলিমরা আশার আলো দেখতে পাবে বলে আশাবাদী।