গাজায় ত্রাণের জন্য অপেক্ষমাণ ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরাইলি হামলায় অন্তত ২৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন আরও ১৫৫ জন। ১৪ মার্চ, বৃহস্পতিবার এই হামলার কথা জানিয়েছে ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
গাজার পৃথক দুটি স্থানে ত্রাণপ্রার্থীদের ওপর ইসরাইল এই হামলা চালায়। শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার গাজা উপত্যকায় দুটি পৃথক ইসরাইলি হামলার ঘটনায় সহায়তার অপেক্ষায় থাকা কমপক্ষে ২৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে একটি ঘটনায় ৮ ফিলিস্তিনি এবং অন্য ঘটনায় ২১ ফিলিস্তিনি নিহত হন। তারা সবাই ত্রাণ নেওয়ার অপেক্ষায় ছিলেন।
গাজার ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানান, প্রথম ঘটনায় মধ্য গাজা উপত্যকার আল-নুসেইরাত ক্যাম্পে একটি ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে ইসরাইলের বিমান হামলায় আটজন নিহত হয়েছেন। পরবর্তী সময়ে উত্তর গাজার একটি মোড়ে ট্রাক থেকে সহায়তা নেয়ার জন্য উপস্থিত লোকজনের ওপর ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে কমপক্ষে ২১ জন নিহত ও ১৫০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি আহত হয়।
এর আগে গত মাসের শেষদিকে গাজার দক্ষিণাঞ্চলে ত্রাণের জন্য অপেক্ষমাণ ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি গুলিতে অন্তত ১০৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছিল। আহত হয়েছিল অন্তত ৭৫০ জন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘আহতরা আল-শিফা মেডিকেল কমপ্লেক্সে মেঝেতে পড়ে আছে। দুর্বল চিকিৎসা সক্ষমতার কারণে চিকিৎসা সেবা দানকারী দলগুলো এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হিমসিম খাচ্ছে।’
আগেরবারের হামলায় হতাহতের অধিক সংখ্যার পেছনে ইসরায়েল অতিরিক্ত ভিড়ে চাপা পড়াকে দায়ী করেছিল। আর এবারের এই হতাহতের ঘটনা সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে দখলদার অপশক্তি ইসরায়েল। অস্বীকার করার বিষয়টিকে ইসরায়েলের মিথ্যা প্রচারণা কৌশলের অংশ হিসেবেই দেখা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, ইসরায়েলের হামলায় গাজায় এখন অবধি ৩১ হাজার ২৭২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এর মধ্যে অন্তত ১২ হাজার ৩০০ শিশুও আছে। ৮ হাজার ৬৬৩ শিশুসহ মোট ৭৩ হাজার ২৪ জন আহত হয়েছে।
তথ্যসূত্র:
1. Israeli strikes kill at least 29 Gazans awaiting aid, say Palestinian officials
– https://tinyurl.com/2mvcb68m