ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের অধিকার বিষয়ক এক বিশেষজ্ঞ বলেছেন, ইসরায়েল গাজার যুদ্ধে কয়েকটি “গণহত্যা” সংঘটিত করেছে এবং জাতিগত নির্মূলীকরণের উদ্যোগ নিয়েছে।
অধিকার বিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিনিধি ফ্রাঞ্চেস্কা আলবানিজ বলেন, স্পষ্ট প্রমাণ রয়েছে যে জাতিসংঘের গণহত্যা কনভেনশনে তালিকাবদ্ধ পাঁচটি আইনের তিনটি লঙ্ঘন করেছে ইসরায়েল।
এক প্রতিবেদনে তিনি বলেন, “গাজার উপর ইসরায়েলের হামলার নজিরবিহীন ধরন ও ব্যাপকতা এবং জীবনের যে ধ্বংসাত্মক পরিস্থিতি তারা তৈরি করেছে- তা বুঝিয়ে দেয়, জাতিগোষ্ঠী হিসেবে ফিলিস্তিনিদের অস্তিত্ব লোপ করে দেওয়ার অভিপ্রায় রয়েছে তাদের। গাজায় ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে যে ধরনের ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ চালানো হয়েছে, তা গণহত্যার মাত্রায় পৌঁছেছে।”
তিনি বলেন, ইসরাইলের কয়েকজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার বিবৃতিতে ফিলিস্তিনিদের জোর করে বাস্তুচ্যুত করে সেই জায়গায় ইসরাইলি বসতি স্থাপনকারীদের বসানোর অভিপ্রায় ধরা পড়েছে এবং এ থেকে ইঙ্গিত মিলছে যে, “জাতিগত নির্মূলীকরণ ঘটাতে গণহত্যাকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে।”
এই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ইসরায়েল সকল ফিলিস্তিনি ও তাদের অবকাঠামোকে “সন্ত্রাসী” বা “সন্ত্রাসে মদদদানকারী” হিসেবে বিবেচনা করে এবং এইভাবে সবকিছু ও সবাইকে হয় লক্ষ্যবস্তু নয়ত ‘যুদ্ধজনিত ক্ষতি’তে রূপান্তরিত করা হচ্ছে। গাজার কোনও ফিলিস্তিনি নিরাপদ নয়। এর ধ্বংসাত্মক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রভাব রয়েছে, যাতে হাজার হাজার ফিলিস্তিনিকে জীবন দিতে হয়েছে। গাজায় ফিলিস্তিনিদের উপর ইসরায়েলের গণহত্যা, তাদের অস্তিত্ব মুছে দেয়ার জন্য ঔপনিবেশিক প্রক্রিয়া দীর্ঘস্থায়ী করার সর্বোচ্চ পর্যায়।
তথ্যসূত্র:
1. UN expert: ‘Acts of genocide against Palestinians in Gaza met’
– https://tinyurl.com/y678uhp3