সোমালিয়ার রাজধানীর নিকটতম বালাদ শহরে ইস্তেশহাদী হামলার পর গুরত্বপূর্ণ সামরিক ঘাঁটি, ব্যারাক ও একাধিক চৌকির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন হারাকাতুশ শাবাব আল মুজাহিদিন। এসময় শাবাব যোদ্ধাদের হাতে মোগাদিশু বাহিনীর ৩২ সৈন্য হতাহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
শাহাদাহ এজেন্সি ও স্থানীয় কিছু সূত্রে জানা গেছে, সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিশু থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে বালাদ শহরে একটি সফল অ্যাম্বুশ অভিযান পরিচালনা করেছেন বৈশ্বিক ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী আল-কায়েদার পূর্ব আফ্রিকান শাখা খ্যাত আশ-শাবাবের মুজাহিদগণ। গত ৬ এপ্রিল শনিবার ভোরবেলায় শাবাব যোদ্ধাদের এই তীব্র আক্রমণ শুরু হয়।
বর্ণনা সূত্রে জানা যায়, বিস্ফোরক ভর্তি একটি গাড়ি ব্যবহার করে ইস্তেশহাদী হামলার মাধ্যমে আক্রমণটি শুরু করেন শাবাবের ইসলামি প্রতিরোধ যোদ্ধারা। সোমালি ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড সিকিউরিটি এজেন্সির (নিসা) ঘাঁটি লক্ষ্য করে উক্ত ইস্তেশহাদী হামলাটি চালানো হয়।
এরপর শাবাবের ইনগিমাসী যোদ্ধারা সামরিক ঘাঁটি ও এর আশপাশের তিনটি নিরাপত্তা চৌকি এবং ‘নিসা’র একটি সামরিক ব্যারাকে একযোগে হামলা শুরু করেন। এসময় মুজাহিদদের তীব্র আক্রমণে মোগাদিশু বাহিনীর ১৩ সৈন্য নিহত হয় এবং ১৯ সৈন্য আহত হয়। বাকি সৈন্যরা সামরিক ঘাঁটি, ব্যারাক ও নিরাপত্তা চৌকিগুলো ছেড়ে বালাদ শহরের কেন্দ্রের দিকে পালিয়ে যায়।
মোগাদিশু বাহিনীর পলায়নের পর মুজাহিদিন তথা ইসলামি প্রতিরোধ যোদ্ধাগণ সামরিক ঘাঁটি, ব্যারাক ও ৩টি নিরাপত্তা চৌকির সবগুলোর নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করতে সক্ষম হন। একই সাথে মুজাহিদগণ বালাদ শহরের বেশির ভাগ এলাকায় তাদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেন এবং শহরের কেন্দ্র অবরোধ করেন।
উল্লেখ্য, বালাদ শহরটি রাজধানী মোগাদিশুর নিকটবর্তী একটি অঞ্চল। শাবাব মুজাহিদিন কর্তৃক এই শহরের অধিকাংশ দখল ও শহরের কেন্দ্র অবরোধ করার মাধ্যমে এটা স্পষ্ট হলো যে, আশা-শাবাব কৌশলে রাজধানী মোগাদিশুকে চতুর্দিক দিয়ে ঘিরে ফেলার কৌশল বাস্তবায়নে এগিয়ে যাচ্ছে।