ইতিহাসের সবচেয়ে বর্বর ঘঠনার জন্ম দিয়েছে ইসরাইল। গত ছয়মাস ধরে অবরুদ্ধ গাজায় যে বর্ববরতা চালিয়েছে দখলদার ইসরায়েলি সেনারা তা ইতিহাসে নজীরবিহীন। তাদের বর্বরতা থেকে অবুঝ শিশুরাও রক্ষা পায়নি। নির্বিচারে হত্যা করা হয়েছে শিশু ও নারীদের।
গাজায় চলমান ইসরায়েলি হত্যাযজ্ঞে নিহত প্রায় ১৪ হাজার শিশুর পাশাপাশি আহত হয়েছে অন্তত ১২ হাজার শিশু। তার মধ্যেই একজন সানাদ আল আরাবি। ইসরায়েলি বিমানবাহিনীর হামলা থেকে এক বছরের এই শিশু বেঁচে গেলেও ভোগ করছে অবর্ণনীয় যন্ত্রণা। তার মুখে ২০০টি সেলাই পড়েছে। বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে বাঁ হাত। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে খবরটি দিয়েছে।
ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় এক বছরের এই শিশু হারিয়েছে তার পরিবারের ১০ জন সদস্যকে। বিধ্বস্ত হয়ে গেছে তার বাসস্থান। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, তার বাঁ হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। সানাদের জিহ্বার একটি অংশও বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। তা ছাড়া, ডান হাতের কিছু অংশও কেটে ফেলতে হবে।
সানাদের দাদি মারওয়া আল আরাবি বলেন, ‘এই শিশুকে যদি চিকিৎসার জন্য গাজার বাইরে নিয়ে যাওয়া সম্ভব না হয়, তবে তাকে বাঁচানো না-ও যেতে পারে। আল্লাহর ইচ্ছায় সানাদের এক হাত উড়ে গেছে। এখন চিকিৎসকেরা বলছেন, আরেক হাতও কেটে ফেলতে হবে। ওর দিকে দেখুন—এখনই এক হাত নেই ওর। আরেক হাতও কেটে ফেললে ও পঙ্গু হয়ে যাবে।’
সানাদের বাবা মোহাম্মেদ আল আরাবি বলেন, আমাদের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে সানাদের ক্ষতই সবচেয়ে মারাত্মক। ওর ডান হাতে টিয়ার শেল বিদ্ধ হয়েছে। হাতটিতে আর কোনো সাড়া পাচ্ছে না সে।
গত ৭ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত প্রতিদিন গড়ে ১০ জন করে শিশু ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় হারাচ্ছে একটি বাঁ দুটি পা। তাদের অধিকাংশই পাচ্ছে না পর্যাপ্ত চিকিৎসা সুবিধা। উল্লেখ্য, ৭ অক্টোবর থেকে চলমান এ হামলায় ৩৪ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। যুদ্ধ বিধ্বস্ত অঞ্চলটির বিরাট অংশ ধ্বংস হয়ে গেছে এবং বহু ফিলিস্তিনি দুর্ভিক্ষের মুখে পড়েছে।
তথ্যসূত্র:
1. Injured one-year-old gets 200 facial stitches and hand amputation in Gaza
– https://tinyurl.com/37be92ym