দেশে খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়ে ১৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস)। এ মূল্যস্ফীতির ফলে নিম্ন আয়ের মানুষ অসুবিধায় রয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এক অনুষ্ঠানে বিআইডিএসের মহাপরিচালক বিনায়ক সেন বলেন, ‘দেশের সব জেলা থেকে তথ্য নিয়েছি। এরপর একটি পদ্ধতিতে মূল্যস্ফীতি হিসাব করা হয়েছে। তাতে দেখা গেছে, খাদ্য মূল্যস্ফীতি হয়েছে ১৫ শতাংশ।’
এদিকে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য বলছে, চলতি বছরের মার্চে দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৯ দশমিক ৮১ শতাংশ হয়েছে।
আর মার্চে খাদ্য ও খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৬৪ শতাংশ। অন্যদিকে খাদ্য পণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৯ দশমিক ৮৭ শতাংশ হয়েছে।
বিআইডিএসের মহাপরিচালক জানান, তাদের কাছে প্রাপ্ত তথ্যে দেখা গেছে, মূল্যস্ফীতির হার বাড়ার পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে মাছের দাম। গত এক বছরে মাছের দাম ২০ শতাংশের ওপর বেড়েছে। এরপর রয়েছে পোলট্রি মুরগির দাম। দেশের পোলট্রি খাদ্যের বড় অংশই আমদানিনির্ভর। গত দুই বছরে আমদানি করা এসব খাবারের দাম কয়েক গুণ বেড়েছে, যা শেষ পর্যন্ত মূল্যস্ফীতির হার বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে।
বিনায়ক সেন মনে করেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে শুল্ক কমানোসহ সমন্বিতভাবে বেশ কিছু উদ্যোগ নিতে হবে।
পোলট্রি খাদ্যে শুল্ক কমানো প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেন বিনায়ক সেন। তিনি বলেন, এটি কমানো হলে তা মাছ-মুরগির মতো পণ্যের দাম কমাতে সহায়ক হবে। এতে মূল্যস্ফীতিও কমবে।
তথ্যসূত্র:
১. দেশে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১৫ শতাংশ, বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ
– https://tinyurl.com/3en66zzh