বৈশ্বিক ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী আল-কায়েদা পশ্চিম আফ্রিকা শাখা জামা’আত নুসরাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন (জেএনআইএম)। দলটি চলতি মে মাসের প্রথমার্ধে মালিতে জান্তা ও ওয়াগনার বাহিনীর বিরুদ্ধে পরিচালিত অন্তত ১৫টি অপারেশনের তথ্য নিশ্চিত করেছে। এই অপারেশনগুলোর মাধ্যমে জান্তা বাহিনী থেকে ৩টি সামরিক ঘাঁটি ও ১টি সেনা চৌকির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন মুজাহিদগণ।
আয-যাল্লাকা মিডিয়ায় প্রকাশিত বিবরণ অনুযায়ী, জেএনআইএম মুজাহিদগণ গত ১লা মে থেকে ১৫ মে পর্যন্ত মালিতে একটি ইস্তেশহাদী হামলা সহ ১৫টি সফল অভিযান পরিচালনা করছেন। এরমধ্যে রাশিয়ার ভাড়াটে ওয়াগনার মিলিশিয়া বাহিনীর বিরুদ্ধে ৩টি অভিযান চালানো হয়েছে মালির টিম্বুকটো রাজ্যে। ফলশ্রুতিতে মুজাহিদদের এক অভিযানেই ওয়াগনার বাহিনীর অন্তত ৫ সৈন্য নিহত হয় এবং বড় একটি সংখ্যক মিলিশিয়া সদস্য আহত হয়। পরে হতাহত ওয়াগনার সদস্যদের সরিয়ে নিতে হেলিকপ্টারের হস্তক্ষেপ ও অবতরণ করতে বাধ্য হয়।
মুজাহিদগণ অন্য ১২টি অভিযান পরিচালনা করেন মালির ইসলাম বিরোধী জান্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে। মুজাহিদদের পরিচালিত এসকল অভিযানের ৫টি চালানো হয় সিকাসো রাজ্যে, ৩টি মোপ্তি রাজ্যে, ২টি কৌলিকোরো রাজ্যে এবং ২টি সেগো রাজ্যে। জেএনআইএম অফিসিয়ালি এসকল অভিযানে কত শত্রু সেনা হতাহত হয়েছে তা সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করে নি। তবে স্থানীয় কিছু সূত্র জানায়, গত ৩মে মোপ্তি এবং ১১মে কৌলিকোরো রাজ্যে মুজাহিদিন কর্তৃক ২টি সামরিক ঘাঁটি বিজয়ে শত্রু বাহিনীর অন্তত ৫৭ সেনা সদস্য হতাহত হয়েছে। হতাহতদের মধ্যে ২৬ সেনা নিহত হয়েছে বলেও নিশ্চিত করেছে সূত্রগুলো।
আয-যাল্লাকার তথ্য অনুযায়ী, মুজাহিদদের পরিচালিত উক্ত ১২টি অভিযানে জান্তা বাহিনীর ১০টি সাঁজোয়া যান এবং ৩০টি মোটরসাইকেল ধ্বংস হয়েছে। অপরদিকে মুজাহিদগণ গনিমত হিসাবে অর্জন করেছেন, ২টি সাঁজোয়া যান, ১০টি সামরিক যানবাহন, ৮টি মেশিনগান, ৫টি দুশকা, ৭টি পিকা, ৩টি আরপিজি, ১টি আর্টিলারি, ১টি মর্টার লঞ্চার, ১১টি ক্লাশিনকোভ, ৯টি পিস্তল এবং ৪৩৪টি গোলাবারুদ ভর্তি বাক্স।