পাকিস্তান ভিত্তিক সশস্ত্র ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি)। দলটি নিশ্চিত করেছে যে, গত মে মাসে পাকিস্তান জুড়ে দলটির মুজাহিদগণ মার্কিন মদদপুষ্ট সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে ৯৮টি পৃথক অভিযান পরিচালনা করছেন। এতে পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর ৯০ সদস্য নিহত এবং ১২৪ সদস্য আহত হয়েছে।
সশস্ত্র দলটি কর্তৃক ইনফোগ্রাফি আকারে প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, মুজাহিদগণ বীরত্বপূর্ণ এই অভিযানগুলো পাকিস্তানের ৯টি রাজ্যের মোট ১৮টি জেলায় পরিচালনা করছেন। এসকল অভিযানে হাতাহত সামরিক বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে ১০৩ সেনা, ৬৫ পুলিশ, ৩৮ এফসি এবং গোয়েন্দা সংস্থার সাথে যুক্ত ৮ সদস্য রয়েছে। সেই সাথে টিটিপির মুজাহিদদের হাতে ১ সেনা সদস্য বন্দী হয়েছে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, টিটিপির মুজাহিদগণ খাইবার পাখতুনখোয়া অঞ্চলের ১২টি জেলাতেই মোট ৯২টি অভিযান পরিচালনা করছেন। এর বাহিরে পাকিস্তানের লাহোর, ডেরা গাজি খান, পাঞ্জাব, রাওয়ালপিন্ডি, বেলুচিস্তানের ঝাব এবং পিশিনে ১টি করে মোট ৬টি পৃথক অভিযান পরিচালনা করেছেন টিটিপির মুজাহিদগণ। আর একক কোনো জেলা হিসাবে সর্বোচ্চ সংখ্যক হামলা চালানো হয়েছে দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানে, যার সংখ্যা ২১টি। এরপরের স্থানে রায়েছে উত্তর ওয়াজিরিস্তান, যেখানে ১৬টি অভিযান চালানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, এসকল অভিযানে মুজাহিদগণ ৩৬ বার স্নাইপার রাইফেল ও লেজার গান দিয়ে পাকিস্তানি বাহিনীকে লক্ষ্যবস্তু করেছেন। এছাড়াও প্রতিবেদনে ১১টি আক্রমণাত্মক হামলা, ৫টি গ্রেনেড হামলা, ৭টি লক্ষ্যবস্তু হামলা, ১১টি প্রতিশোধমূলক হামলা এবং ১৮টি গেরিলা হামলার তথ্য নথিভুক্ত করা হয়েছে। দলটি আরও যুক্ত করেছে যে, মুজাহিদগণ পাকিস্তান সামরিক বাহিনী ও সাঁজোয়া যান লক্ষ্য করে ১৪টি মাইন বিস্ফোরণ এবং ২টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছেন।
টিটিপির মুজাহিদগণ গত মাসে এসকল অভিযান শেষে পাকিস্তানী সৈন্যদের কাছ থেকে ৪টি ক্লাশিনকোভ, ১টি পিস্তল এবং ১টি মোবাইল জব্দ করেছেন। সেই সাথে মুজাহিদগণ পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর ২০টি নজরদারি ক্যামেরা, ৫টি সামরিক যান, ৩টি ড্রোন এবং ১টি চেকপয়েন্ট ধ্বংস করেছেন।