বুরকিনায় মুজাহিদদের দুর্দান্ত ১১ অভিযান: নিহত অন্তত ৯৩ সেনা

1
468

আল-কায়েদা সাহেল অঞ্চলের মুজাহিদগণ বুরকিনা ফাসোর জান্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে দুর্দান্ত সব সফল অভিযান পরিচালনা করছেন। মুজাহিদদের আক্রমণে গত মে মাসের শেষ ৬ দিনে দেশটির ক্ষমতাসীন সামরিক জান্তার অন্তত ৯৩ সেনা নিহত এবং আরও বহু সংখ্যক সৈন্য আহত হয়েছে।

আয-যাল্লাকা মিডিয়া কর্তৃক প্রকাশিত হামলার বিবরণগুলো থেকে জানা যায়, প্রতিরোধ বাহিনী ‘জেএনআইএম’-এর মুজাহিদগণ গত ২৬ মে থেকে ৩১ মে পর্যন্ত দেশটির জান্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে ১১টি পৃথক অভিযান পরিচালনা করেছেন। অভিযানগুলো ৭টি রাজ্যের মোট ১০টি এলাকায় শত্রু বাহিনীর বিভিন্ন অবস্থানে ও টহল দলকে লক্ষ্য করে চালানো হয়েছে।

মুজাহিদদের পরিচালিত উক্ত অভিযানগুলোর ৫টিতেই জান্তা বাহিনীর উচ্চপদস্থ ৫ কর্মকর্তাসহ অন্তত ৯৩ সেনা নিহত হয়েছে। সেই সাথে আরও বহু সংখ্যক সৈন্য আহত হয়েছে এবং মুজাহিদদের হাতে বেশ কিছু সৈন্য বন্দী হয়েছে। বাকি ৬টি অভিযানেও জান্তা বাহিনীর অসংখ্য সৈন্য হতাহত হয়েছে বলে জানিয়েছে আয-যাল্লাকা মিডিয়া, তবে হতাহতের সুনির্দিষ্ট কোনো সংখ্যা উল্লেখ করেনি মিডিয়াটি।

আয-যাল্লাকা সূত্রে আরও জানা যায়, উক্ত ১১টি অভিযান শেষে মুজাহিদগণ জান্তা বাহিনীর কাছ থেকে গনিমত হিসাবে জব্দ করেছেন ২১টি পিকা, ৪টি আরপিজি, ২টি দুশকা, ৭২টি ক্লাশিনকোভ, ২৯টি মোটরসাইকেল, ১০টি পিস্তল, ১টি ৬০-ক্যালিবারের মর্টার আর্টিলারি, ১৪৯ রাউন্ড ক্লাশিনকোভ বুলেট, ৩টি পিইকে চেইন, ৫৭টি গোলাবারুদ ও বুলেট বাক্স। এগুলো ছাড়াও আরও অনেক সামরিক সরঞ্জাম গনিমত হিসাবে অর্জন করেছেন মুজাহিদগণ।

আয-যাল্লাকা রিপোর্ট থেকে এও জানা গেছে যে, মুজাহিদদের সবচাইতে সফল ৩টি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে গত ২৮ ও ২৯ মে। এরমধ্যে গত ২৮ মে বুরকিনা ফাসোর কায়া রাজ্যে মুজাহিদদের পরিচালিত এক অভিযানে অন্তত ১১ সৈন্য নিহত হয়। আর ২৯ মে ডোরি অঞ্চলের গাসিল এলাকায় মুজাহিদদের পরিচালিত অভিযানে ৮ সৈন্য নিহত হয়। এদিন মুজাহিদদের দ্বিতীয় সফল অভিযানটি চালানো হয় কোগো অঞ্চলের কোভেলগুর এলাকায়। অভিযানটি জান্তা বাহিনীর একটি সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে সকাল ১০ টায় শুরু করে দুপুর ২টা পর্যন্ত চলতে থাকে। এই অভিযানে শত্রুর কয়েকটি ইউনিটের অন্তত ৭০ সৈন্য নিহত হয় এবং আরও অনেক সৈন্য আহত হয়, একই সাথে বেশ কিছু সৈন্য মুজাহিদদের হাতে বন্দী হয়। জান্তা বাহিনী বহু চেষ্টা করেও ঘাঁটিতে তাদের অবস্থান ধরে রাখতে পারি নি, বরং বাহির থেকে কোনো সহায়তা না পাওয়ায় অন্য সৈন্যরা ঘাঁটি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়।

১টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধফিলিস্তিনের জিহাদ || আপডেট – ১৩ জুন, ২০২৪
পরবর্তী নিবন্ধদক্ষ সৈনিক নিয়োগ ও সামরিক যান সংস্কার কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে ইমারতে ইসলামিয়ার সেনাবাহিনী