বাংলাদেশে রেমিট্যান্স প্রেরণে খরচ বেড়েছে

0
206

বাংলাদেশে বর্তমানে ডলার সংকট চলছে। তবে দেশের এই দুঃসময়ে রেমিট্যান্স পাঠানো বাড়িয়েছেন প্রবাসীরা। ২০২৩ সালে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ২২.১৬৮ বিলিয়ন ডলার, যা দেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। গত বছর দেশে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে ৩ শতাংশের বেশি। তবে দেশে রেমিট্যান্স পাঠাতে প্রবাসীদের খরচ বেড়েছে।

দক্ষিণ এশিয়ার পাঁচটি ব্যয়বহুল রেমিট্যান্স করিডরের মধ্যে তিনটিই বাংলাদেশের। অথচ বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স প্রেরণ বাড়াতে ব্যয় কমিয়ে আনার বিকল্প নেই।

বিশ্বব্যাপী অভিবাসন নিয়ে কাজ করা ‘দ্য গ্লোবাল নলেজ পার্টনারশিপ অন মাইগ্রেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট’ তথা নোমাড-এর সাম্প্রতিক প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। বিশ্বব্যাংকের সহযোগী এ সংস্থাটির ‘রেমিট্যান্স স্লোড ইন ২০২৩, এক্সপেক্টেড টু গ্রো ফাস্টার ইন ২০২৪’ শীর্ষক প্রতিবেদনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ২০০ ডলার পাঠানোর তুলনামূলক ব্যয়ের হিসাব তুলে ধরা হয়েছে।

প্রতিবেদনে দেখা যায়, দক্ষিণ এশিয়ার সর্বনিম্ন খরচের পাঁচটি করিডরের মধ্যে চারটিতেই খরচ কমেছে। এর মধ্যে মালয়েশিয়া থেকে ভারতে রেমিট্যান্স প্রেরণে খরচ সবচেয়ে কম। ২০২৩ সালের চতুর্থ প্রান্তিকে এ করিডরে রেমিট্যান্স প্রেরণে খরচ পড়েছে ২.২ শতাংশ। যেখানে আগের বছরের এ সময়ে খরচ পড়েছিল ২.৯ শতাংশ।

কিন্তু এ অঞ্চলের সবচেয়ে ব্যয়বহুল পাঁচটি করিডরেই খরচ বেড়ে হয়েছে ১১.৭ থেকে ১৩.৬ শতাংশ পর্যন্ত। সবচেয়ে বেশি খরচ বেড়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে বাংলাদেশে রেমিট্যান্স প্রেরণে। এ করিডরে খরচ বেড়েছে ১৭২ শতাংশ। এই দুই দেশের মধ্যে ২০২২ সালের চতুর্থ প্রান্তিকে প্রতি ২০০ ডলার প্রেরণে যেখানে খরচ পড়েছে ৫ শতাংশ, সেখানে ২০২৩ সালের চতুর্থ প্রান্তিকে খরচ পড়েছে ১৩.৬ শতাংশ। একই সময়ে যুক্তরাজ্য থেকে আফগানিস্তানে রেমিট্যান্স প্রেরণে খরচ বেড়েছে ১৮ শতাংশ এবং সিঙ্গাপুর-বাংলাদেশ করিডরে খরচ বেড়েছে ৪৬ শতাংশ।

প্রতিবেদনে দেখা যায়, প্রতিবেশীদের চেয়ে বাংলাদেশে রেমিট্যান্স প্রেরণে খরচ বেশি। ২০২৩ সালের চতুর্থ প্রান্তিকে মালয়েশিয়া থেকে ইন্ডিয়া রেমিট্যান্স প্রেরণে যেখানে খরচ পড়েছে ২.২ শতাংশ, সেখানে মালয়েশিয়া থেকে বাংলাদেশে রেমিট্যান্স প্রেরণে খরচ পড়েছে ১২.১ শতাংশ। সিঙ্গাপুর থেকে ভারতে রেমিট্যান্স প্রেরণে খরচ পড়েছে ২.৬ শতাংশ, অথচ সিঙ্গাপুর থেকে বাংলাদেশে রেমিট্যান্স প্রেরণে খরচ পড়েছে ১১.৭ শতাংশ। এই সময়ে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে শ্রীলঙ্কায় রেমিট্যান্স প্রেরণে খরচ পড়েছে ২.৫ শতাংশ, এর বিপরীতে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে বাংলাদেশে রেমিট্যান্স প্রেরণে খরচ পড়ে ১৩.৬ শতাংশ। দক্ষিণ এশিয়ায় রেমিট্যান্স প্রেরণের সবচেয়ে কম খরচের পাঁচটি করিডরের কোনোটিতে বাংলাদেশ নেই। অথচ এ অঞ্চলের সবচেয়ে ব্যয়বহুল পাঁচটি করিডরের তিনটি বাংলাদেশের। বাকি দুটির মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ইন্ডিয়া রেমিট্যান্স প্রেরণে খরচ হয় ১১.৮ শতাংশ এবং যুক্তরাজ্য থেকে আফগানিস্তানে রেমিট্যান্স প্রেরণে খরচ পড়ে ১২.৩ শতাংশ।


তথ্যসূত্র:
১. Migration and Development Brief 40 – https://tinyurl.com/35kb3x48

মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধফিলিস্তিনের জিহাদ || আপডেট – ৩ জুলাই, ২০২৪
পরবর্তী নিবন্ধপুলিশের অস্বাভাবিক নির্যাতনে মুসলিম ব্যক্তির মৃত্যু:পরিবারের অভিযোগ হত্যা করা হয়েছে