৬ আগস্ট মঙ্গলবার গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারাগারে বন্দীদের উপর গুলি চালিয়েছে কারারক্ষীরা। এতে অন্তত ৬ জন বন্দী নিহত হয়েছেন বলে গণমাধ্যমে এসেছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সূত্রে জানা যায়, ৫ই আগস্ট জালিম শেখ হাসিনা সরকারের পতনের আনন্দ সারা দেশের মুক্ত জনসাধারণের পাশাপাশি কারাগারের বন্দীদের মাঝেও ছড়িয়ে পড়ে। তাই বন্দীরা কারাগারের ভেতরেই ৬ই আগস্ট আনন্দ মিছিল বের করেন। এসময় কারাগারে অন্যায়ভাবে বন্দী ইসলামি ব্যক্তিত্বরাও এই আনন্দ মিছিলে শামিল হতে যান। কিন্তু জেল সুপার সুব্রত বালা তাদেরকে আটকানোর নির্দেশ দেয়। এই নিয়ে কারা কর্তৃপক্ষের সাথে তর্ক হয় ইসলামপন্থীদের। এর জের ধরে বন্দীদের উপর সরাসরি গুলিবর্ষণ করার নির্দেশ দেয় জেল সুপার সুব্রত বালা। এরপরই কারাগারে বিক্ষোভ ও গণ্ডগোল শুরু হয়। অনেক বন্দী পালিয়ে যান।
কারারক্ষীদের নির্বিচার গুলিবর্ষণে অন্তত ৬ জন বন্দী নিহত হওয়ার খবর গণমাধ্যমে ওঠে এসেছে। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হতাহতের সংখ্যা আরও বেশি হওয়ার খবর শোনা যাচ্ছে। অনলাইনে অনেক আলিম আজ পর্যন্ত ৩২ জনকে শহীদ করে দেয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন।
সংবাদ মাধ্যমগুলোতে কারাগারের ঘটনাকে ভুলভাবে উপস্থাপনের অভিযোগ তুলেছেন ইসলামি ব্যক্তিত্বরা। সংবাদমাধ্যমগুলোতে বলা হচ্ছে, প্রথমে বন্দীরা বিদ্রোহ করার কারণে কারারক্ষীরা গুলিবর্ষণ করেছে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে কারারক্ষীরা সুব্রত বালার নির্দেশে অন্যায়ভাবে গুলিবর্ষণ করার কারণেই কারাগারে বিক্ষোভ-গন্ডগোল শুরু হয় বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানান ইসলামি ব্যক্তিত্বরা। তারা বলেন, অনেক দিন ধরেই সুব্রত বালা কারাগারে বন্দীদের উপর নির্মম নির্যাতন করে আসছে।
ইসলামি ব্যক্তিত্বরা কারাগারের নির্মম হত্যাকাণ্ডের এই ঘটনায় জেল সুপার সুব্রত বালা এবং তার সাথে অপরাধে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেফতার করে বিচারের মুখোমুখি করার দাবি জানিয়েছেন। এছাড়াও, মিথ্যা মামলায় যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের মুক্তির দাবি জানিয়েছেন উলামায়ে কেরাম।