মালিতে অগ্নিগর্ভ আল-কায়েদা: ৩ ইস্তেশহাদী হামলায় কেঁপে উঠল ‘বের’ শহর

1
401

উত্তর মালির বের শহরের কৌশলগত ২টি সামরিক ঘাঁটিতে একযোগে ইস্তেশহাদী অপারেশনের পাশাপাশি টিম্বুকটো ও গাও রাজ্যের শত্রু বিমানঘাঁটিতে সমন্বিত আক্রমণ চালিয়েছেন মুজাহিদগণ। এতে শতাধিক শত্রু সৈন্য নিহত এবং আরও অসংখ্য সৈন্য আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।

আয-যাল্লাকা মিডিয়া সূত্রে জানা গেছে, গত ৬ অক্টোবর বিকাল ৩টায়, উত্তর মালির বের শহরে শত্রু বাহিনীর কয়েকটি সামরিক অবস্থান লক্ষ্য করে বৃহৎ আকারের সমন্বিত অপারেশন পরিচালনা করছেন মুজাহিদগণ। অভিযানের নেতৃত্বে ছিলেন টিম্বুকটো ইমারাতের “আল-কুদস ব্রিগেডের” প্রধান শাইখ জুলাইবিব আল-আনসারী ও এই ইউনিটের শতাধিক মুজাহিদ। আল-কুদুস ব্রিগেডের ৩ জন মুজাহিদ শুরুতেই শহরের প্রধান শত্রু সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে পরপর বিস্ফোরক ভর্তি ৩টি গাড়ি দ্বারা ইস্তেশহাদী হামলা চালান। এরপর জেএনআইএম-এর অন্যান্য বীর মুজাহিদগণ ঘাঁটি ও এর আশপাশের একাধিক সামরিক অবস্থান লক্ষ্য করে সমন্বিত স্থল অভিযান শুরু করেন।

একই সাথে অভিযানে অংশগ্রহণকারী মুজাহিদদের সহায়তা করতে এতে যোগদেন জেএনআইএম-এর আর্টিলারি ব্যাটালিয়ানের মুজাহিদগণ। তাঁরা শত্রু বাহিনীর আকাশ ও স্থল পথে সহায়তার সমস্ত পথ বন্ধ করতে টিম্বুকটো এবং গাও রাজ্যের শত্রু বিমানঘাঁটি ও গুরুত্বপূর্ণ সেনা অবস্থানগুলোতে একযোগে অসংখ্য গ্র্যাড ক্ষেপণাস্ত্র ও মর্টার হামলা চালাতে থাকেন। এতে কয়েক ঘন্টার জন্য বের শহর জান্তা বাহিনী থেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এমন পরিস্থিতিতে স্থল অভিযানে অংশগ্রহণকারী মুজাহিদগণ বীরত্বের সাথে বের সামরিক ঘাঁটি ও শহরের অন্যান্য সামরিক অবস্থানে কয়েক ঘন্টা যাবৎ তীব্র আক্রমণ চালান। এতে হতাহত হতে থাকে ডজনকে ডজন শত্রু সৈন্য।

জেএনআইএম-এর সামরিক নেতৃত্ব হামলার প্রাথমিক রিপোর্টে উল্লেখ করেছিল যে, এই অভিযানে বের শহরে শত্রু বাহিনীর অন্তত ১৬ সৈন্য নিহত এবং ২৬ এরও বেশি সৈন্য আহত হয়েছে। আর মুজাহিদদের আর্টিলারি হামলায় রাশিয়ার ওয়াগনার বাহিনীরও অন্তত ৫ মিলিশিয়া হতাহত হয়েছে। এছাড়াও সামরিক ঘাঁটি, একাধিক সামরিক অবস্থান ও ২টি বিমানবন্দরে শত্রু বাহিনীর বিপুল পরিমাণ সামরিক সরঞ্জাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

পরবর্তীতে স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো নিশ্চিত করেছে যে, শুধু বের সামরিক ঘাঁটিতেই এদিন মুজাহিদদের পরিচালিত অভিযানে শতাধিক জান্তা (সেনা) সদস্য নিহত এবং আরও কয়েক ডজন জান্তা সদস্য আহত হয়েছে। এছাড়াও দু’টি বিমানঘাঁটিতে মুজাহিদদের আর্টিলারি হামলায় জান্তার পাশাপাশি অসংখ্য ওয়াগনার ভাড়াটে মিলিশিয়া সদস্য হতাহত হয়েছে। ধ্বংস ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অসংখ্য সামরিক যান ও সরঞ্জাম, সাময়িক সময়ের জন্য বাধাগ্রস্ত হয়েছে ২টি রাজ্যের বিমান চলাচল।

সর্বশেষ ‘জেএনআইএম’ এক বিবৃতিতে নিশ্চিত করেছে যে, বের অভিযানে ৬ জন মুজাহিদও শত্রু বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইরত অবস্থায় শহাদাত বরণ করেছেন। দুই পৃষ্ঠার এক শোকবার্তায় আরও যোগ করা হয়েছে যে শহিদদের মধ্যে জেএনআইএম-এর “আল-কুদুস” ব্রিগেডের কমান্ডার শাইখ জুলাইবিব রহিমাহুল্লাহ্ও রয়েছেন, যিনি বের যুদ্ধে সম্মুখে থেকে শাহাদাতের আগ পর্যন্ত নেতৃত্ব দিয়েছেন।

১টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধপূজা মণ্ডপের গেট ভাঙ্গতে গিয়ে আটক হিন্দু যুবক
পরবর্তী নিবন্ধ১১কোটি নাগরিকের তথ্য ২০ হাজার কোটি টাকায় বিক্রি, জয়-পলকের বিরুদ্ধে মামলা