পাক-ইরান সীমান্তে আফগানদের হতাহতের ঘটনার প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে তালেবান প্রশাসন

0
289

বিগত ১৬ই অক্টোবর পাক-ইরান সীমান্তের নিকটে বেসামরিক আফগান নাগরিক হতাহতের ঘটনা ঘটে, যা একাধিক সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছিল। প্রায় ২৫০ জন আফগান শরণার্থী এই ঘটনায় নিহত হয়েছেন বলে দাবি করে ইরানভিত্তিক একটি মানবাধিকার সংগঠন হালভশ। তবে তাৎক্ষনিক বিবৃতির মাধ্যমে তা অস্বীকার করেছিলেন আফগানিস্তানে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত হাসান কাজেমি।

ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত পরিচালনা করতে উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে একটি প্রতিনিধি দল গঠন করেছিল ইমারতে ইসলামিয়া সরকার। এই প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে রয়েছেন ইমারতে ইসলামিয়ার স্বরাষ্ট্র উপমন্ত্রী মোল্লা মুহাম্মদ ইবরাহীম সদর হাফিযাহুল্লাহ। এছাড়া তালেবান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, সীমান্ত ও উপজাতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও গোয়েন্দা বিভাগের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠন করা হয়েছে এই তদন্ত কমিটি।

ইমারতে ইসলামিয়ার উপমুখপাত্র মোল্লা হামদুল্লাহ ফিতরাত সাম্প্রতিক এক বিবৃতির মাধ্যমে তথ্যগুলো জানান। সংশ্লিষ্ট ঘটনার প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন উক্ত বিবৃতিতে তুলে ধরা হয়েছে। এতে জানানো হয়, ইরানের কালগান উপত্যকায় বিস্ফোরণ ও গোলাগুলির ঘটনায় বেশ কয়েকজন আফগান নাগরিক হতাহতের ঘটনাটি সত্য।

ঘটনায় শহীদ এখন পর্যন্ত ২ জন ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করা গেছে, এছাড়া ৩৪ জন প্রত্যক্ষদর্শীকে দেশে ফিরে আনা হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের অনেকেই এই ঘটনায় আহত হয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত বেশ কয়েকজন আফগান নাগরিক এখনও ইরান ও পাকিস্তানে অবস্থান করছেন। তাদেরকে সনাক্তকরণ ও দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধি দল।

বিস্তারিত প্রমাণ সংগ্রহের উদ্দেশ্যে তদন্ত কার্যক্রম এখনও চলমান রয়েছে। তদন্ত শেষে চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে বলে জানান উপমুখপাত্র হামদুল্লাহ হাফিযাহুল্লাহ।


তথ্যসূত্র:
1. High-Level Islamic Emirate Delegation Probes Casualties Near Iran-Pakistan Border
– https://tinyurl.com/hsw2hvyw
2. IEA repatriates bodies of two killed in attack on Afghan migrants on Iran-Pakistan border
– https://tinyurl.com/nu44bm4k

মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধলেবাননে ইসরায়েলের বর্বর হামলায় নিহত অন্তত ২৫
পরবর্তী নিবন্ধবুরকিনান জান্তা বাহিনীর ২টি সামরিক ঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন মুজাহিদিনরা