সিরিয়ায় ৭ ঘন্টায় আলেপ্পো সিটির ১৪০ বর্গকিলোমিটার এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন মুজাহিদিনরা

3
890

সিরিয়ার সশস্ত্র ইসলামি প্রতিরোধ দলগুলো আলেপ্পোর পশ্চিমাঞ্চলে রাশিয়া এবং ইরান-সমর্থিত আসাদ সরকারের বিরুদ্ধে নতুন করে বড়ধরণের সামরিক অপারেশন শুরু করেছে। ২০২০ সালের পর আসাদ বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ দলগুলোর এখন পর্যন্ত এটিই সবচাইতে বড় সামরিক অপারেশন।

স্থানীয় সূত্রমতে, গত ২৭ নভেম্বর বুধবার দুপুরে প্রতিরোধ দলগুলো “রদ্দুল উদওয়ান” নামে নতুন একটি সামরিক অপারেশন ঘোষণা করেছে। এই ঘোষণার কিছুক্ষণের মধ্যেই ট্যাংক, সাঁজোয়া যান আর ভারী সব যুদ্ধাস্ত্র নিয়ে সুড়ঙ্গ থেকে বেরিয়ে আসে শত শত মুজাহিদিন, যারা আলেপ্পোর পশ্চিমাঞ্চলের একাধিক ফ্রন্টে আসাদ বাহিনীর অবস্থানগুলোতে একযোগে হামলা চালাতে শুরু করেন।

নতুন এই অপারেশন শুরুর মাত্র ৭ ঘন্টার মধ্যে মুজাহিদিনরা আলেপ্পোর পশ্চিমাঞ্চলের ১৪০ বর্গকিলোমিটার এলাকা শত্রু মুক্ত করতে সক্ষম হয়েছেন। সেই সাথে আলেপ্পো সিটির কেন্দ্রের দিকে ১০ কি.মি. এরও বেশি অগ্রসর হয়েছেন। রিপোর্ট লেখাকালীন সময়ে মুজাহিদরা আলেপ্পোর কেন্দ্রস্থলে পৌঁছাতে আর মাত্র ৫ কি.মি. পথের দুরত্ব রয়েছে। প্রতিরোধ যোদ্ধারা তাদের এই অগ্রগতির মাধ্যমে ৪টি গুরত্বপূর্ণ ও কৌশলগত শহর সহ ১৯টি গ্রাম শত্রু মুক্ত করেছেন।

আর এসময়ের মধ্যে মুজাহিদিনরা শত্রু বাহিনীর ৫টি ট্যাঙ্ক, ১টি বিএমপি গাড়ি এবং ১টি ক্ষেপণাস্ত্র ডিপোর নিয়ন্ত্রণ নিতে সক্ষম হয়েছে। সেই সাথে মুজাহিদিনরা আসাদ সরকারি বাহিনীর ৬ সদস্যকে আটক করেছেন। বাকি শত্রু সৈন্যদের হত্যা এবং আহত করে তাড়াচ্ছেন মুজাহিদিনরা।

“রদ্দুল উদওয়ান” অপারেশন রুমের সামরিক কমান্ডার হাসান আব্দুল গনির করা একটি টুইটার/এক্স বার্তা থেকে জানা যায়, প্রতিরোধ যোদ্ধারা বিজয়ের এই ধারাবাহিকতায় আলেপ্পোর পশ্চিমাঞ্চলে ইরান এবং রাশিয়ান-সমর্থিত আসাদ সরকারের ৪৬তম রেজিমেন্টের পুরো ঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ নিতে সক্ষম হয়েছেন। শত্রু বাহিনীর এই ঘাঁটি ও এলাকাটি আসাদ বাহিনীর বৃহত্তম ও কৌশলগত এলাকাগুলির একটি। এখান থেকেই শত্রুরা মুক্ত অঞ্চলগুলিতে সর্বাধিক হত্যা ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করত, এটি ছিল আসাদ বাহিনীর ভারী অস্ত্র এবং কামিকাজে ড্রোন হামলার কেন্দ্র। তাই এলাকাটি বিজয়কে প্রতিরোধ যোদ্ধাদের আলেপ্পো বিজয়ের একটি সূচনা পয়েন্ট হিসাবে বিবেচনা করেন কমান্ডার হাসান আব্দুল গনি।

3 মন্তব্যসমূহ

    • টিটিপি পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে জিহাদ করে যাচ্ছেন আলহামদুলিল্লাহ্‌। আর আইএস এর বিষয়ে উলামাদের খারেজিয়াতের মাসআলা তো স্পষ্ট। দুইটি দল একই ধারার নয়।

Leave a Reply to AlFirdaws News প্রতিউত্তর বাতিল করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধভিডিও || ভারতে ৪ মুসলিমকে গুলি করে হত্যার পর তাদেরই ৪০০ জনের বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা
পরবর্তী নিবন্ধগাজায় হত্যাযজ্ঞ চলছেই, নিহত আরও ১৪ ফিলিস্তিনি