দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানের টোকিওতে যে পরিমাণ বোমা ফেলা হয়েছে তার চেয়ে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনী বেশি বোমা ফেলেছে। এমনটি জানিয়েছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা।
ফিলিস্তিনি উদ্বাস্তুদের জন্য জাতিসংঘের সংস্থা বা ইউএনআরডব্লিউএর স্বাস্থ্য পরিচালক সেতা আকিহিরোর কাছ থেকে তথ্য পাওয়ার পর ২৮ নভেম্বর, বৃহস্পতিবার ইশিবা এ মন্তব্য করেন।
আনাদোলু এজেন্সির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এটি হৃদয়বিদারক যে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় টোকিওতে মার্কিন বিমান হামলার তুলনায় গাজায় বহুগুণ বেশি বোমা ফেলা হয়েছে।
গাজার কর্মকর্তাদের মতে, দখলদার ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গত বছরের অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় ১৮ হাজার টন বোমা ফেলেছে। এ হিসেবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানের হিরোশিমায় বোমার বিস্ফোরক শক্তির প্রায় এক দশমিক ৫ গুণ বেশি বোমা ফেলেছে।
উল্লেখ্য, ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় এক বছর ধরে হামলা চালিয়ে আসছে সন্ত্রাসী ইসরায়েল। দেশটির অব্যাহত এ হামলায় সৃষ্ট ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কার করতে অন্তত ১৫ বছর সময় লাগবে। এজন্য প্রতিদিন ১০০টি লরি ব্যবহার করতে হবে।
জাতিসংঘের হিসাব মতে, গাজায় ভবন ধ্বসে এ পর্যন্ত ৪২ মিলিয়ন টনেরও বেশি ধ্বংসস্তূপ জমা হয়েছে। এ ধ্বংসস্তূপগুলো যদি একসঙ্গে এক জায়গায় রাখা যায়, তাহলে তা মিশরের ১১টি গ্রেট পিরামিডের সমান হবে। এ ধ্বংসস্তূপ সরাতে ব্যয় হবে ৫০০ থেকে ৬০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৭ হাজার কোটি টাকার বেশি)।
ইউএন এনভায়রনমেন্ট প্রোগ্রামের হিসাব অনুসারে, গাজায় ১ লাখ ৩৭ হাজার ২৯৭টি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যা অঞ্চলটির মোট ভবনের অর্ধেকের বেশি। ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের মধ্যে এক-চতুর্থাংশ পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। এ ছাড়া এক-দশমাংশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং এক-তৃতীয়াংশ বেশ খানিকটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব ভবনের ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে ফেলার জন্য ২৫০ থেকে ৫০০ হেক্টর জমির প্রয়োজন পড়বে।
তথ্যসূত্র:
1. Shigeru Ishiba expresses regret over war in Gaza, stresses need for continuation of support to UNRWA
– https://tinyurl.com/4w2este7