আল-কায়েদা পশ্চিম আফ্রিকা শাখা জামা’আত নুসরাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন (জেএনআইএম), গত ১৬ নভেম্বর থেকে ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত বুরকিনা ফাসোর জান্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে অন্তত ১৮টি পৃথক অভিযান পরিচালনা করছেন। মুজাহিদিনরা এসকল অভিযানের মাধ্যমে শত্রু বাহিনী থেকে ৬টি সামরিক ঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন বলে জানা গেছে।
আয-যাল্লাকা মিডিয়া কর্তৃক প্রকাশিত রিপোর্ট থেকে জানা যায়, ‘জেএনআইএম’ মুজাহিদিনরা গত নভেম্বর মাসের ১৬ থেকে ২৫ তারিখের মধ্যে বুরকিনা ফাসোতে অন্তত ১৮টি পৃথক অপারেশন পরিচালনা করছেন। মুজাহিদদের এসকল অভিযানের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে শত্রু বাহিনীর ১২টি সামরিক ঘাঁটি সহ কয়েকটি সামরিক কনভয় ও সেনা ইউনিট। এসময় মুজাহিদিনরা শত্রু বাহিনী থেকে ৬টি সামরিক ঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ নিতে সক্ষম হয়েছেন। মুজাহিদদের অন্য অভিযানগুলোতে শত্রু বাহিনী ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে বলে জানা যায়।
এসকল অভিযানের মধ্যে রয়েছে গত ১৭ নভেম্বর, দেদুগু রাজ্যের টিমব্রেতে আগ্রাসী শত্রু বাহিনীর বিরুদ্ধে মুজাহিদদের পরিচালিত পাল্টা আক্রমণ। অঞ্চলটিতে মুজাহিদিনরা শত্রু বাহিনীর অগ্রগতি প্রতিহত করতে সক্ষম হন। এসময় মুজাহিদদের হামলায় অন্তত ১০ সৈন্য নিহত হয়। অন্য সৈন্যরা পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। পরে মুজাহিদিনরা ঘটনাস্থল থেকে গনিমত হিসাবে অর্জন করেন ২টি আরপিজি, ৩টি পিকে, ১৩টি ক্লাশিনকোভ, ২টি মোটরসাইকেল এবং গোলাবারুদ সহ অন্যান্য অনেক সামরিক সরঞ্জাম ভর্তি বাক্স।
এমনিভাবে গত ২১ নভেম্বর, মুজাহিদিনরা দেদুগু রাজ্যের বিইয়ে নামক এলাকায় একটি মিলিশিয়া সদর দফতর আক্রমণ করেন। এতে ১৭ মিলিশিয়া সদস্য নিহত হয়। এসময় মুজাহিদিনরা ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করেন ১৫টি ক্লাশিনকোভ, ৪টি মোটরসাইকেল এবং অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম।
এদিন মুজাহিদিনরা টেনকোডজো রাজ্যের গাসি এবং বুবলিল এলাকায় শত্রু বাহিনীর ২টি ঘাঁটিতে অতর্কিত আক্রমণ চালান। এতে ৬ শত্রু সৈন্য নিহত হয়। এসময় মুজাহিদিনরা ৬টি ক্লাশিনকোভ এবং ১৫টি পিস্তল সহ অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম গনিমত লাভ করেন।
একইদিন ফাদানগোরমা রাজ্যের কম্বাদজোতে একটি বুরকিনাব সেনা ব্যারাকে অতর্কিত আক্রমণ চালিয়ে এর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেন মুজাহিদিনরা। ফলশ্রুতিতে অন্তত ৮ শত্রু সৈন্য নিহত হয়। অভিযান শেষে মুজাহিদিনরা ঘাঁটি থেকে ১৭টি শেল, ৩টি গাড়ি, ৮টি পিকা, ২৮টি ক্লাশিনকোভ, ৫টি আরপিজি, ১টি দুশকা অস্ত্র, ১৫টি গোলাবারুদ বাক্স, ৩০টি পিকা টেপ, ২৩০টি বুলেট বাক্স এবং অন্যান্য অনেক সামরিক সরঞ্জাম গনিমত লাভ করেন।
এদিকে গত ২৪ নভেম্বর, মুজাহিদিনরা বুরকিনা ফাসোর কায়া এবং ডোরি রাজ্যের বানীর, ফোর-জি এবং বিসলা এলাকায় শত্রু বাহিনীর ৩টি ঘাঁটিতে অতর্কিত আক্রমণ চালান। ফলশ্রুতিতে শত্রু বাহিনীর অন্তত ৩৩ সৈন্য নিহত এবং আরও বহু সংখ্যক সৈন্য আহত হয়। এরমধ্যে কায়া রাজ্যের বানীর এলাকায় অভিযান শেষে মুজাহিদিনরা গনিমত হিসাবে অর্জন করেন ১টি দুশকা, ১০টি পিকা, ২১টি টেপ, ৩টি আরপিজি, ৩৮টি ক্লাশিনকোভ, ১৬০টি বুলেট বাক্স এবং ১টি সামরিক যান সহ অন্যান্য আরও বিপুল সরঞ্জাম।
এমনিভাবে গত ২৫ নভেম্বর, মুজাহিদিনরা ওহিগুয়া রাজ্যের বাঙ্গো এবং সিসি গ্রামে দুটি বুরকিনাবে সেনা সদর দফতরে সফল অভিযান পরিচালনা করেন। এতে ১১ শত্রু সৈন্য নিহত হয়। সেই সাথে মুজাহিদিনরা গনিমত লাভ করেন ১টি সামরিক যান, ১টি দুশকা, ৪টি আরপিজি, ৫টি পিকা, ১৭টি ক্লাশিনকোভ, ১১টি গোলাবারুদ বাক্স, ২০৬টি বুলেট বাক্স, ১৭টি টেপ এবং অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম।
