বাংলাদেশে দুর্নীতিবিরোধী তদন্তে ব্রিটেনের এমপি টিউলিপ সিদ্দিকের নাম তার পরিবারের তালিকায় রাখা হয়েছে। টিউলিপের খালা, বাংলাদেশে ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় থাকা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দক্ষিণ এশিয়ার এ দেশটিতে এখন দুর্নীতি দমন কমিশনের অধীনে ব্যাপক তদন্তের মুখোমুখি।
৫ আগস্ট ছাত্রদের নেতৃত্বে গণ-অভ্যুত্থানের মুখে পড়ে হাসিনা পদত্যাগ করে এবং রেহানাকে নিয়ে ভারতে পালিয়ে যায়। ১৫ বছরের শাসনের পর হাসিনার নেতৃত্বাধীন কর্তৃত্ববাদী আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশনের কর্মকর্তাদের মতে, শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের নাম প্রথম নজরে আসে ২০১৪ সালে যুক্তরাষ্ট্র বনাম রিজভী আহমেদের মামলায়। এফবিআইয়ের তদন্তে সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিরুদ্ধে গুরুতর আর্থিক অসদাচরণ প্রকাশ পেয়েছে।
সজীব ওয়াজেদ জয়ের নামে হংকং ও কেম্যান দ্বীপপুঞ্জের বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে নিউ ইয়র্ক, ওয়াশিংটন ডিসি ও লন্ডন ব্যাংকে অর্থ স্থানান্তরিত করার তথ্য বিশেষভাবে সামনে এসেছে। এফবিআই তাদের লন্ডন প্রতিনিধির মাধ্যমে এটি নিশ্চিত করেছে এবং গুরুতর আর্থিক অনিয়ম ও অর্থ পাচারের প্রমাণ পেয়েছে।
বিচার বিভাগের একজন সিনিয়র ট্রায়াল অ্যাটর্নি ও একজন বিশেষ এজেন্ট নিশ্চিত করেছে যে কেম্যান দ্বীপ ও হংকংয়ের শেল কোম্পানির মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে ৩০০ মিলিয়ন ডলার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন ব্যাংকে জমা করা হয়েছে। এ বিষয়ে দুদকের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আবদুল মোমেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘ঘটনাটি অনেকাংশে সত্য, আমরা ভবিষ্যতে আরো সুনির্দিষ্ট তথ্য পেতে পারি, এ বিষয়ে আমরা পরে সরাসরি কথা বলব।’
বাংলাদেশের অর্থনীতি সম্পর্কে সম্প্রতি প্রকাশিত শ্বেতপত্র অনুসারে, কর্তৃত্ববাদী আওয়ামী লীগ শাসনের অধীনে অবৈধ তহবিল প্রবাহের কারণে ২০০৯ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে বাংলাদেশ বার্ষিক ১৬ বিলিয়ন ডলার লোকসান করেছে।
তথ্যসূত্র:
-https://tinyurl.com/2fet73xk
-https://tinyurl.com/2cbkdef2