পশ্চিম তীরে স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ অভিযান চালাচ্ছে দখলদার ইসরায়েল

0
49

ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরের ভয়াবহ হামলা চালাচ্ছে ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র সন্ত্রাসী ইসরায়েলি বাহিনী। সেখানকার শরণার্থী শিবিরগুলো ধ্বংস করার ফলে ১৯৬৭ সালের যুদ্ধের পর থেকে ফিলিস্তিনিদের জন্য সবচেয়ে বড় বাস্তুচ্যুতির কারণ হয়েছে।

৭ মার্চ, শুক্রবার জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য ত্রাণ ও কর্মসংস্থান সংস্থাটির (UNRWA) কমিশনার-জেনারেল ফিলিপ লাজারিনি এ তথ্য জানান।

পশ্চিম তীরের শরণার্থী শিবিরগুলোতে চালানো পরিকল্পিত ও ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ অভূতপূর্ব প্রভাব ফেলছে। এতে জেনিন, তুলকারেম এবং নূর শামস শরণার্থী শিবিরগুলোর বেশিরভাগ বাসিন্দা বাস্তুচ্যুত হয়েছে এবং বেসামরিক অবকাঠামোগুলো ব্যাপকভাবে ধ্বংস হয়েছে, যার মধ্যে ঘরবাড়িও রয়েছে।

লাজারিনি বলেন, সেখানকার মানুষ এখন এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি যে, তারা আর ফিরে যাওয়ার কোনো জায়গা খুঁজে পাচ্ছে না। এই অভিযান দ্বিতীয় ইন্তিফাদার পর সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী ও বিধ্বংসী। যার ফলে ১৯৬৭ সালের যুদ্ধের পর পশ্চিম তীরে সবচেয়ে বড় ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুতির ঘটনা ঘটেছে। পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বাহিনীর এই ভয়াবহ আগ্রাসনে প্রায় ৪০,০০০ মানুষ তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছে।

এদিকে পশ্চিম তীরে চলমান পরিস্থিতি ‘গভীর উদ্বেগজনক’ বলে মন্তব্য করেছে জাতিসংঘ। শুক্রবার তুরস্কের বার্তা সংস্থা আনাদোলুর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক ফিলিস্তিনের অধিকৃত পশ্চিম তীরের পরিস্থিতির অবনতি সম্পর্কে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে।


তথ্যসূত্র:
1. West Bank situation remains ‘deeply alarming’: UN
– https://tinyurl.com/3tdeb6rd

মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধগজনি শহরে রাস্তায় স্ট্রিট লাইটিং প্রকল্প উদ্বোধন করলো ইমারতে ইসলামিয়া প্রশাসন
পরবর্তী নিবন্ধপরিবেশ সংরক্ষণে ইমারতে ইসলামিয়ার বড় উদ্যোগ, ২ কোটি গাছ লাগানোর পরিকল্পনা