গাজায় থামছেইনা মৃত্যু মিছিল, বর্বর ইসরায়েলি আগ্রাসনে শহীদ ৮২

0
36

গাজা উপত্যকায় চলমান বর্বর আগ্রাসনে ফিলিস্তিনে প্রাণহানির সংখ্যা ভয়াবহ মাত্রায় পৌঁছেছে। চিকিৎসা সূত্রের বরাতে জানা গেছে, ২১ মে, বুধবার গাজার বিভিন্ন স্থানে বর্বর ইসরায়েলি বিমান হামলায় নারী ও শিশু সহ অন্তত ৮২ জন ফিলিস্তিনি শহীদ এবং আরও ২৬২ জন আহত হয়েছেন।

ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া নৃশংস ইসরায়েলি হামলায় মোট শহীদের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৩,৬৫৫ জনে, আহত হয়েছেন ১,২১,৯৫০ জনেরও বেশি। শহীদদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।

বুধবার সন্ধ্যায় গাজার আল-নাফাক স্ট্রিটে বেসামরিক নাগরিকদের একটি সমাবেশে বর্বর ইসরায়েলি বিমান হামলায় চারজন বেসামরিক নাগরিক শহীদ হন এবং অনেকে আহত হন। একই ধরনের আরেকটি হামলা চালানো হয় গাজার আল-দারাজ এলাকায়, যেখানে নয়জন ফিলিস্তিনি নাগরিক শহীদ হন।

জাবালিয়া বাস স্টেশনে গোলাবর্ষণে নিহত হয়েছেন অন্তত আটজন, আহত হয়েছেন আরও কয়েক ডজন। গাজা শহরের উত্তরাঞ্চলে জাবালিয়া আল-বালাদ এলাকার আল-নুজা স্ট্রিটে নাভান পরিবারের বাড়িতে হামলায় শহীদ হয়েছেন ১১ জন, আহত ১৩ জন।

দেইর আল-বালাহ শহরে একটি বাড়িতে বিমান হামলায় পাঁচজন শহীদ হয়েছেন, যাদের মধ্যে তিনজন শিশু। খান ইউনিসের পূর্বে আবাসান আল-কাবিরা এলাকায় আবু সালাহ পরিবারের বাড়িতেও হামলা চালিয়ে চারজনকে শহীদ করেছে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী।

চিকিৎসা সূত্র জানায়, ইসরায়েলের পুনরায় হামলা শুরু হওয়ার পর— অর্থাৎ ১৮ মার্চ থেকে এ পর্যন্ত শহীদের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩,৫০৯ জনে, আহত হয়েছেন ৯,৯০৯ জন।

স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতে, ইসরায়েলি বাহিনী নিয়মিতভাবে অ্যাম্বুলেন্স ও বেসামরিক প্রতিরক্ষা কর্মীদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করছে, ফলে বহু হতাহত ও মৃতদেহ এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে বা রাস্তার পাশে পড়ে আছে। জরুরি সেবা সংস্থাগুলোর পক্ষে সেখানে পৌঁছানো প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে।


তথ্যসূত্র:
1. Gaza death toll nears 53,700 as Israel kills 82 more Palestinians
– https://tinyurl.com/4unzua3y
2. Death toll across Gaza Strip surges to 53,655, over 121,950 injured
– https://tinyurl.com/2s36et5d

মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধগাজায় আগ্রাসন চালাতে গিয়ে আরো এক দখলদার সেনা নিহত
পরবর্তী নিবন্ধ‘১৭ বছর খাইতে পারিনি, এখন খাব’; ঠিকাদারকে হুমকি