
গাজায় ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরায়েলের নৃশংস আগ্রাসনের মুখে ইসলামি প্রতিরোধ শক্তিগুলো যেভাবে সশস্ত্র প্রতিরোধের মাধ্যমে আঘাত হানছে, তা এক অনন্য সাহসিকতার দৃষ্টান্ত হয়ে উঠেছে। সাম্প্রতিক এক অভিযানে আল-কুদস ব্রিগেড দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর একটি গুরুত্বপূর্ণ সামরিক সদর দফতরে সরাসরি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানে, ইহুদিবাদী দখলদারদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার দুর্বলতা আবারো প্রকাশ পায়।
ফিলিস্তিনের ইসলামি জিহাদ আন্দোলনের সামরিক শাখা আল-কুদস ব্রিগেড (২ আগস্ট), শনিবার এক ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করেছে, যাতে দেখা যায় তারা গাজার দক্ষিণে খান ইউনিস শহরের উত্তরে অবস্থিত দখলদার ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর একটি কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সদর দফতরে গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্র দ্বারা সরাসরি আঘাত হানে।
এই হামলাটি ‘অপারেশন ফ্লাড অব আল-আকসা’র অংশ হিসেবে পরিচালিত হয় এবং এতে ১০৭ মিমি গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়। ক্ষেপণাস্ত্রটি দখলদার বাহিনীর যানবাহন ও সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে অত্যন্ত নির্ভুল আঘাত হানে। এতে শত্রু বাহিনীর মধ্যে অনেক প্রাণহানি ঘটে।
প্রকাশিত ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, টার্গেটকৃত ভবনের আশেপাশে দখলদার সেনারা অবস্থান করছিল। এতে স্পষ্ট হয় যে হামলার পূর্বে বিশদ গোয়েন্দা নজরদারি ও তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছিল। ভিডিওতে একজন ফিলিস্তিনি মুজাহিদকে একটি ব্যাগে করে ক্ষেপণাস্ত্র বহন করতে দেখা যায়। তিনি ধ্বংসস্তূপে ভরা সরু গলি দিয়ে অগ্রসর হয়ে একটি ধ্বংসপ্রাপ্ত ভবনের মধ্য থেকে একটি ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপন করে নিক্ষেপ করেন। মিসাইলটি সরাসরি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করে বিস্ফোরণের মাধ্যমে বিশাল ধোঁয়ার কুণ্ডলি সৃষ্টি করে।
এই হামলা এমন এক সময়ে হলো, যখন গোটা গাজা জুড়ে ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনীগুলোর, বিশেষ করে আল-কুদস ব্রিগেড ও হামাসের আল-কাসসাম ব্রিগেড, সশস্ত্র প্রতিরোধ তীব্র থেকে তীব্রতর হয়ে উঠেছে। ইহুদিবাদী দখলদারদের ট্যাংক, সাঁজোয়া যান এবং সামরিক ঘাঁটিগুলোকে লক্ষ্য করে একের পর এক আক্রমণ চালানো হচ্ছে। ২০২৩ সালের ২৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া দখলদার ইসরায়েলের স্থল অভিযানের পর প্রতিরোধ বাহিনীগুলো ধারাবাহিকভাবে এসব হামলার ভিডিও ও তথ্যচিত্র প্রকাশ করে আসছে। প্রতিটি ভিডিওই এক একটি দখলদারবিরোধী প্রতিরোধ ইতিহাসের প্রামাণ্য দলিল হয়ে উঠছে।
তথ্যসূত্র:
1.Resistance Targets Israeli HQ in Khan Yunis, Releases Footage of Starving Captive
– https://tinyurl.com/w69u8d9b


