
২ আগস্ট, শনিবার ভোর থেকে গাজায় দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে ৬২ জন ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছেন, অবরুদ্ধ গাজার বেশ কিছু হাসপাতাল সূত্র আল জাজিরাকে এ তথ্য জানিয়েছে। এদের মধ্যে বেশিরভাগই ছিলেন ত্রাণপ্রার্থী।
নিহতের মধ্যে ৩৮ জন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েল-সমর্থিত বিতর্কিত গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ) পরিচালিত ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে ত্রাণের অপেক্ষায় ছিলেন। সংস্থাটির কার্যক্রম শুরুর পর থেকেই ইসরায়েলি বাহিনী ত্রাণ নিতে যাওয়া লোকজনকে নির্বিচারে গুলি করে শহীদ করছে।
গত সপ্তাহে দখলদার ইসরায়েল ঘোষণা করেছিল যে, তারা কিছু এলাকায় যুদ্ধে ‘কৌশলগত বিরতি’ বাস্তবায়ন শুরু করবে যেন ফিলিস্তিনিদের কাছে মানবিক সহায়তা পৌঁছানো যায়। কিন্তু তারা হামলা স্থগিত করার কথা বললেও ফিলিস্তিনিদের ওপর আগ্রাসন থেমে নেই।
মানবাধিকার অফিসের তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার পর্যন্ত ত্রাণ নেওয়ার চেষ্টা করতে গিয়ে কমপক্ষে এক হাজার ৩৭৩ জন ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছেন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান অনুসারে, ২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজায় ইসরায়েলের হামলা শুরু হওয়ার পর থেকে ৯৩ জন শিশুসহ আরও ১৬৯ জন ফিলিস্তিনি অনাহার বা অপুষ্টিতে মারা গেছেন।
গাজার দেইর আল-বালাহ থেকে শনিবার আল জাজিরার সাংবাদিক হিন্দ খোদারির প্রতিবেদনে বলা হয়, সাম্প্রতিক ত্রাণ সরবরাহ সত্ত্বেও ফিলিস্তিনিদের অবস্থা অপরিবর্তিত রয়ে গেছে। বাজারে খাবার প্রায় নেই, আর যেটুকু আছে সেটি অনেক বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। ফলে জীবন ঝুঁকিতে ফেলে খাবার সংগ্রহ করতে বাধ্য হচ্ছেন সাধারণ মানুষ।
মানবাধিকার সংগঠনগুলো হুঁশিয়ারি দিয়ে বলছে, সহায়তা পৌঁছানোর পথ বন্ধ থাকলে এবং বর্বর ইসরায়েলি হামলা বন্ধ না হলে গাজায় মানবিক বিপর্যয় আরও ভয়াবহ রূপ নেবে।
তথ্যসূত্র:
1.Israeli attacks kill 62 Palestinians in Gaza, including three near aid site
– https://tinyurl.com/bddj2a35


