
ফিলিস্তিনের গাজায় ইহুদিবাদী দখলদার ইসরায়েলের নৃশংস হামলা অব্যাহত রয়েছে। ১১ আগস্ট, সোমবার থেকে শুরু করে গত তিন দিনে জেইতুন এলাকায় ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী ৩০০-এর বেশি বেসামরিক বাড়িঘর ধ্বংস করেছে, যার বেশিরভাগই পাঁচ তলা বা তার বেশি উঁচু ভবন। এই হামলায় বহু নিরপরাধ নারী, শিশু ও বৃদ্ধসহ অসংখ্য ফিলিস্তিনি নিহত ও আহত হয়েছে।
গাজা সিভিল ডিফেন্সের মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল জানান,দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী কোনো পূর্বসতর্কতা ছাড়াই এই হামলা চালিয়েছে এবং বিস্ফোরকের তীব্রতা আশেপাশের ভবনগুলোকেও ধ্বংস করেছে। অনেক বাড়ি ধ্বংস হয়েছে যখন বাসিন্দারা ভেতরে অবস্থান করছিলেন, ফলে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। আহতদের উদ্ধারে যাওয়া সিভিল ডিফেন্স টিমগুলোকেও ইচ্ছাকৃতভাবে বাধাগ্রস্ত করা হয়েছে।
বাসাল জানান, এ ধ্বংসযজ্ঞ সন্ত্রাসী ইসরায়েলের চলমান দখল পরিকল্পনার অংশ হিসেবে পরিচালিত হচ্ছে। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, জেইতুন বর্তমানে গাজা সিটির সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার একটি। ইসরায়েলের এই সামরিক আগ্রাসন গাজার মানবিক পরিস্থিতিকে আরও অবনতির দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত মধ্যপ্রাচ্যের দুর্বৃত্ত ইসরায়েলের হামলায় গাজায় ৬১,৭০০-এর বেশি ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছে। জাতিসংঘ, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ও অন্যান্য মানবাধিকার সংস্থা বারবার ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যা চালানোর প্রমাণ পেশ করেছে। অ্যামনেস্টির রিপোর্ট অনুযায়ী, ইসরায়েল ইচ্ছাকৃতভাবে গাজাবাসীর জন্য খাদ্য, পানি ও চিকিৎসা সামগ্রী প্রবেশে বাধা দিয়ে তাদের ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
ইহুদিবাদী দখলদার ইসরায়েলের নৃশংসতা দিন দিন বেড়েই চলেছে। ফিলিস্তিনিদের উপর চলমান অত্যাচার শুধু একটি জাতির বিরুদ্ধে অপরাধ নয়, বরং সমগ্র মানবতার বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ। গাজায় চলমান গণহত্যা ও বেসামরিক জনগণের উপর চালানো হামলা আন্তর্জাতিক আইনের চরম লঙ্ঘন। কিন্তু পাশ্চাত্যের দেশগুলোর সমর্থন ও সহায়তার কারণে এই গণহত্যা দিনের পর দিন চলমান আছে, এর বিরুদ্ধে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।
তথ্যসূত্র:
1. Israel destroys over 300 homes in Gaza’s Zeitoun neighborhood in 3 days
– https://tinyurl.com/5y6c8snw


