হাসিনার পক্ষে জনমত গঠনের জন্য তৎপর গোয়েন্দা সংস্থা র’

0
67

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গতবছরের ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যায় ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা। ভারতে থেকে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে অনলাইনে যোগাযোগ অব্যাহত রাখছে এবং একের পর উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছে জুলাইয়ের মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত সাবেক এ সরকারপ্রধান। প্রায় সময়ই ‘বাংলাদেশে ঢুকে পড়বে’ বলে নেতাকর্মীদের আশ্বাস দিয়ে যাচ্ছে সে। তবে তার সে তর্জন-গর্জন এখন পর্যন্ত ‘কাগুজে বাঘ’ হিসেবেই দেখছে সচেতন নেতাকর্মী ও বিশ্লেষকরা।

তবে এর মধ্যেও আওয়ামী লীগ ও তাদের মিত্রদের দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে আবারও চাউর হচ্ছে ‘ষড়যন্ত্রতত্ত্ব’। দুর্গাপূজার পরই দেশে ফেরার লড়াইয়ে নামবে কলকাতায় থাকা আওয়ামী লীগের নিউটাউন শাখা। দীর্ঘ সাড়ে ১৫ বছরে শেখ হাসিনার গুম-খুনকে পাশ কাটিয়ে আবারও তাকে প্রাসঙ্গিক করার অপচেষ্টায় ব্যস্ত ভারত ও তার প্রক্সিগুলো। এ লক্ষ্যে সচল করা হচ্ছে আওয়ামীপন্থি বিভিন্ন এজেন্সিকে। তাদের তৎপরতায় বাংলাদেশের রাজনীতিতে এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন—ফ্যাসিবাদী সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কি সত্যিই দেশে ফিরছে? ভারতীয় মিডিয়ার একাংশ এবং কিছু বুদ্ধিজীবীর তৎপরতা এ জল্পনাকে আরো উসকে দিয়েছে।

অভিযোগ উঠেছে, ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইংয়ের (‘র’) মদতে হাসিনার পক্ষে জনমত তৈরির চেষ্টা চলছে। সম্প্রতি দিল্লিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে আওয়ামী লীগের একটি সম্মেলন। এ সম্মেলনের নেপথ্যে ভারতের ‘র’-এর সমর্থন রয়েছে বলে অভিযোগ। সেখানে অংশ নিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গের দ্বিতীয় সারির কমিউনিস্ট নেতা গৌতম রায়। নিজ রাজ্যে তেমন গুরুত্ব না পেলেও, বারবার হাসিনার প্রশংসা করে নিজেকে প্রাসঙ্গিক রাখার চেষ্টায় থাকে গৌতম। তার একটি বইয়ের ভূমিকাও লিখেছে শেখ হাসিনা।

শুধু সম্মেলন নয়, ডিজিটাল মাধ্যমেও হাসিনার পক্ষে প্রচারণা চালানো হচ্ছে। অভিযোগ উঠেছে, পশ্চিমবঙ্গের একটি ওয়েব পোর্টাল নিয়মিত আওয়ামীপন্থিদের অনুষ্ঠান প্রচার করছে। এর পরিচালক ধবল সরকার (নাম পরিবর্তিত) নাকি আওয়ামী লীগের কাছ থেকে কয়েক কোটি টাকা পেয়েছে। এছাড়া অসংখ্য ফেসবুক ইনফ্লুয়েন্সারকেও টাকা দিয়ে বিভিন্ন বিষয়ে পোস্ট করানো হচ্ছে।

তবে এর মধ্যেও দিল্লিতে আওয়ামী লীগের নেতাদের আনাগোনা বেড়েছে। সম্প্রতি ওবায়দুল কাদের দিল্লিতে অবস্থান করছে বলে জানা গেছে। একই সঙ্গে হাসিনার ঘনিষ্ঠ কলকাতার কিছু বুদ্ধিজীবীকে তার সঙ্গে দেখা করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। তারা আগামী দিনে মিডিয়ায় আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের জন্য কী ভূমিকা রাখবেন—তা নিয়ে আলোচনা করছেন। শোনা যাচ্ছে, পূজার পরই কলকাতার হাসিনাপন্থি বুদ্ধিজীবীরা এ বিষয়ে বড় পদক্ষেপ নিতে পারে। এর পেছনে ‘র’-এর পূর্ণ সমর্থন থাকবে বলেও নিশ্চিত করা হয়েছে। এ কলকাতার বুদ্ধিজীবী ও আওয়ামী লীগের মধ্যে পিডিএফ প্রচারে পুস্তক, নানা ধরনের ভুয়া ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।


তথ্যসূত্র:
১. হাসিনার পক্ষে জনমত তৈরির চেষ্টা, নেপথ্যে ভারতের ‘র’
– https://tinyurl.com/yc8z8zyh

মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধআবু সাইদ হত্যার রিপোর্ট বদলানোর চাপ প্রয়োগ করে পদন্নোতি পায় তৎকালীন এসপি, এখনো বহাল তবিয়তে
পরবর্তী নিবন্ধজবিতে চেয়ারে বসা নিয়ে ছাত্রদলের দুই গ্রুপের হাতাহাতি