
দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের সাহায্যকারী সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ গুরুতর ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। সাম্প্রতিক হামলায় তাদের অনেক স্কুল এবং স্বাস্থ্যকেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যা হাজার হাজার বাস্তুচ্যুত মানুষের জন্য বিপর্যয়কর।
গত ১১ থেকে ১৬ সেপ্টেম্বর এর মধ্যে, দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী গাজা সিটিতে ইউএনআরডব্লিউ এর ১২টি ভবনের উপর সরাসরি এবং পরোক্ষভাবে হামলা চালিয়েছে। এর মধ্যে ছিল নয়টি স্কুল এবং দুটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র, যেখানে ১১,০০০-এর বেশি বাস্তুচ্যুত মানুষ আশ্রয় নিয়েছিল। এই হামলাগুলোর কারণ হিসেবে ইসরায়েলের গাজা পুনরায় দখলের পরিকল্পনা অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
ইউএনআরডব্লিউএ ২৩ সেপ্টেম্বর, মঙ্গলবার মার্কিন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স এর মাধ্যমে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে জানিয়েছে যে, গাজা সিটির এই ১২টি সহায়তা কেন্দ্রে হামলা হয়েছে। এর মধ্যে ইউএনআরডব্লিউএ-র গাজা স্থানীয় অফিসও পরোক্ষ হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিশেষ করে, ওয়াদি গাজার উত্তরে অবস্থিত উত্তর গাজার একমাত্র চালু থাকা স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি ১৩ সেপ্টেম্বরের একটি হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে কার্যক্রম বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে।
এই কেন্দ্রগুলোতে হাজার হাজার বাস্তুহারা মানুষ আশ্রয় নিয়েছিল, যারা এখন আরও বিপদে পড়েছে। সংস্থাটি বলেছে, ‘’বেসামরিক অবকাঠামোর বিশাল ধ্বংস, মানবিক অভিযানে গুরুতর ব্যাঘাত এবং প্রবেশের সীমাবদ্ধতা মিলে গাজা সিটির সাধারণ মানুষদের জন্য অবশিষ্ট জীবনরক্ষক সাহায্যগুলোকে মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত করছে।”
উল্লেখ্য, গাজা সিটিতে প্রায় ১০ লক্ষ মানুষ বাস করে, এবং ইসরায়েল আগস্টে তাদের অনুমোদিত পরিকল্পনা অনুসারে এখান থেকে ধাপে ধাপে গাজা পুনরায় দখল করতে শুরু করেছে। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী গত ৭ অক্টোবর ২০২৩ থেকে ইসরায়েলের অভিযানে এখন পর্যন্ত প্রায় ৬৫,৩০০-এর বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যাদের অধিকাংশই নারী এবং শিশু। এ অবস্থায় জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক মহল বলছে, গাজায় চলমান এ পরিস্থিতি কার্যত একটি গণহত্যা।
তথ্যসূত্র
1. Israeli army strikes 12 UN facilities sheltering thousands of displaced in one week: UNRWA
– https://tinyurl.com/mpkwhezs


