ভারতের মুসলিম বিরোধী নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে লখনৌতে আন্দোলনের ঘটনা ঘটেছে। এতে সন্ত্রাসী পুলিশের হাতে হয়রানির শিকার হলেন ভারতীয় দৈনিক দ্য হিন্দুর একজন সাংবাদিক।
সাদা পোশাকে ঢুকে অবান্তর প্রশ্ন করার পর রেস্তোরাঁ থেকে পুলিশ তুলে নিয়ে যায় ‘দ্য হিন্দু’ পত্রিকার লখনৌর প্রতিবেদক ওমর রশিদ ও তার এক বন্ধুকে। তার পর দুই ঘণ্টা ধরে তাদের আটকে রাখা হয় পুলিশ স্টেশনে।
ওমর জানান, আমাকে থানায় নিয়ে নানা রকমের হুমকি দেওয়া হয়। বলা হয়, টেনে দাড়ি ছিঁড়ে নেব। আমার বন্ধুকে পেটানো হয়। বেশ কিছুক্ষণ হেনস্থা করার পর আমাকে ছেড়ে দেয় সন্ত্রাসী পুলিশ।
ওমর আরো জানান, একটি খবরের জন্য তিনি আর তার বন্ধু গিয়েছিলেন ওই রেস্তোরাঁয়। ওমর তার বন্ধুর মোবাইলের ওয়াইফাই সংযোগ ব্যবহার করছিলেন তার কাজের জন্য। সেই সময় সাদা পোশাকে তিন-চার জন রেস্তোরাঁয় ঢুকে তাদের টেবিলের কাছে চলে আসে।
তিনি আরো বলেন, এর পরেই তারা নানা অবান্তর প্রশ্ন করতে শুরু করে আমার বন্ধুকে। তারা আমার ও আমার বন্ধুর কাছে তাদের পরিচিতি জানতে চায়। কেন আমরা রেস্তোরাঁয় বসে আছি, জানতে চায়। তার পর আমাকে ও আমার বন্ধুকে তারা টেনে নিয়ে গিয়ে রেস্তোরাঁর বাইরে দাঁড় করানো পুলিশের একটি জিপে তোলে। আমি পরিচিতি জানালেও রেহাই মেলেনি।
ওমরের কথায়, ওরা আমাদের থানায় নিয়ে গিয়ে একটা ঘরে বন্ধ করে রাখল। ওরা আমার মোবাইলসহ আর যা কিছু সঙ্গে ছিল, সবই কেড়ে নিল। বেধড়ক মারধর করল আমার বন্ধুকে। নানা রকমভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করতে করতে ওরা আমাদের বলল, লখনৌর হিংসার ঘটনার চক্রান্তে নাকি আমরা জড়িত। কাশ্মীরিদের সঙ্গে আমার যোগাযোগ কতটা, ওরাও লখনৌর ঘটনায় জড়িত ছিল কি না, সেই সব জানতে চাইল আমাদের কাছে। ওরা বার বার বলছিল, আমার বিরুদ্ধে ওদের কাছে নথিপত্র আছে। তার পর আমাকে গালিগালাজ করা শুরু করল অকথ্য ভাষায়। বলা হলো, টেনে আমার দাড়ি ছিঁড়ে দেওয়া হবে।
সুত্রঃ কালের কন্ঠ