নাগরিকত্ব সংশোধন আইন (সিএএ) ও জাতীয় নাগরিক নিবন্ধন (এনসিআর) তৈরি নিয়ে দেশজোড়া বিতর্কের মাঝেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা ‘ন্যাশনাল পপুলেশন রেজিস্টার’ বা এনপিআর প্রকল্পে অর্থ বরাদ্দ করল।
দেশজোড়া বিতর্কের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এনসিআর নিয়ে সরকারের পিছু হটার ইঙ্গিত দেওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এনপিআরের অর্থ বরাদ্দ হলো। সচেতন মহল এই সিদ্ধান্তকে এনআরসির প্রথম ধাপ বলে মনে করছে।
ভারতীয় নাগরিক মুহম্মদ সেলিম বলেছেন, এনআরসি নিয়ে সরকারি উদ্যোগের কথা অস্বীকার করলেও এনপিআর এর মধ্য দিয়ে সরকার সেই দিকেই এগোতে চাইছে। আধার যেখানে সফল, সেখানে এনপিআরের কোনো প্রয়োজনই নেই।
গত মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার এই অনুমোদনের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর জানায়, আসাম ছাড়া দেশের সব রাজ্য ও কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চলে ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এনপিআরের তথ্য আপডেট করার কাজ চলবে।
ভারতের আদমশুমারির কাজ হয় প্রতি ১০ বছর অন্তর। ২০২১ সালে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তা আবার হওয়ার কথা। সেই জনগণনার আগে এনপিআর আপডেট করার কাজ হাতে নেওয়া হচ্ছে। যে ব্যক্তি কোনো ঠিকানায় ছয় মাস বা তার বেশি বসবাস করছেন এবং পরবর্তী অন্তত ছয় মাস থাকবেন বলে মনে করছেন তাঁদের নামধাম নথিবদ্ধ করা হবে। জনগণনার জন্য বরাদ্দ হয় ৮ হাজার ৭৫৪ কোটি ২৩ লাখ রুপি এবং এনপিআরের জন্য ৩ হাজার ৯৪১ কোটি ৩৫ লাখ।