ব্রিটেনে ইন্টারনেটের ফাইভজি প্রযুক্তি থেকে করোনাভাইরাস ছড়ায় বলে আশঙ্কা থেকে টেলিকম স্থাপনায় হামলার ঘটনা ঘটেছে। মিডিয়ার ভাষায়, এই ষড়যন্ত্র তত্ত্বে বিশ্বাস করে দেশটিতে সম্প্রতি মোবাইল ফোনের তিনটি সংযোগ টাওয়ারে আগুন দেয়া হয়েছে। যে ঘটনায় তদন্ত চলছে বলে গার্ডিয়ান ও রয়টার্সের বরাতে জানিয়েছে সময় নিউজ।
লিভারপুলের মেয়র জো আন্ডারসন বলেন, এই অদ্ভুত তত্ত্ব নিয়ে আমার কাছে হুমকি এসেছে। সামাজিকমাধ্যমগুলোতে তা আরও গতি পাচ্ছে।
শুক্রবার জরুরি সার্ভিসকে ফোনে জানানো হয় যে রাত ১১টার কিছু আগে একটি ফাইভজি মাস্তুলে আগুন লেগেছে। পুলিশও এই ঘটনা নিশ্চিত করেছে।
বৃহস্পতিবার মিডিয়া রেগুলেটর অফকম জানায়, এই ভুল ষড়যন্ত্র তত্ত্ব কারা প্রচার করেছে, তা পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। যদিও হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক, টুইটার ও নেক্সডোরের মতো সামাজিকমাধ্যমগুলোতে তা ইতোমধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে।
ডাউনিং স্ট্রিটের সংবাদ সম্মেলনে শনিবার মাইকেল গভ বলেন, বিপজ্জনক অর্থহীন তত্ত্ব প্রচার করা হয়েছে। আর এই ভুয়া খবরের নিন্দা জানিয়েছেন এনএইচএস ইংল্যান্ডের জাতীয় চিকিৎসা পরিচালক অধ্যাপক স্টিভ পাওয়েস।
তিনি বলেন, আমি খুবই ক্ষুব্ধ ও বিরক্ত। জরুরি স্বাস্থ্যসেবার প্রয়োজনীয় অবকাঠামোতে হামলা চালানো হয়েছে। এটা সত্যিই বাজে কাজ।
লিভারপুলের ঘটনার কয়েক ঘণ্টা আগেই এই অদ্ভুত তত্ত্ব উড়িয়ে দিয়ে আন্ডারসন বলেন, সব বৈজ্ঞানিক ও সরকারি পরামর্শে দেখা গেছে যে প্রযুক্তি মানুষের জন্য ক্ষতিকর না!
রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, সম্প্রতি মোবাইল ফোনের মাস্তুল ভাঙচুর ও উত্তর ইংল্যান্ডের মার্সিসাইড এবং মধ্য ইংল্যান্ডের বার্মিংহামে টেলিকম কর্মীদের হয়রানি করা হয়েছে। এমন এক সময় এই সংযোগ ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়েছে, যখন লোকজনের কাছে এটির প্রয়োজন খুবই বেশি।
বার্মিংহামে ব্রিটেনের সবচেয়ে বড় টেলিকম কোম্পানি বিটির মালিকানাধীন একটি নেটওয়ার্ক টাওয়ারে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। এখান থেকে লোকজনকে টুজি, ত্রিজি ও ফোরজি সেবা দেয়া হচ্ছিল। এখনো ফাইফজির সক্ষমতা অর্জন করেনি সেটি।
এভাবে, আল্লাহ তা’য়ালা করোনাভাইরাসের মতো ক্ষুদ্র এক বাহিনীর মাধ্যমে ইসলামবিদ্বেষী কথিত জ্ঞানীগোষ্ঠীর জ্ঞান ও শক্তির স্বরূপ উন্মোচন করছেন।
😄😄😄