মিয়ানমারে সশস্ত্র সন্ত্রাসী সেনাবাহিনীর হামলায় অন্তত ৩২ জন সাধারণ মানুষ নিহত হয়েছেন। তাদের বেশিরভাগ নারী ও শিশু। সেনা সন্ত্রাসীরা বাড়িঘর ও স্কুল ভেঙ্গে দিয়েছে। গতকাল শুক্রবার এই তথ্য দিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক কার্যালয়।
জাতিসংঘের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী বিডি প্রতিদিন সূত্রে জানা যায়, এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে দেশটির অশান্ত রাখাইন এবং চিন রাজ্যে। অধিক স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে এক বছরের বেশি সময় ধরে আরাকান আর্মির (এএ) সশস্ত্র যোদ্ধারা মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করে আসছে।
জেনেভায় জাতিসংঘ মানবাধিবার বিষয়ক কার্যালয়ের মুখপাত্র রুপার্ট কোলভিল এক নিউজ ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘জনবহুল এলাকাগুলোতে প্রতিদিনই বিমান হামলা ও শেল নিক্ষেপ করছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। এসব হামলায় গত ২৩ মার্চ থেকে অন্তত ৩২ জন নিহত ও ৭১ জন আহত হয়েছেন।’
তিনি জানান, ‘সামরিক বাহিনীর এসব হামলায় হতাহতদের বেশিরভাগ নারী ও শিশু। এছাড়া সেনারা বিভিন্ন এলাকায় বাড়িঘর ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে। তবে এসব হতাহত বন্দুকযদ্ধে হয়েছে নাকি সেনা সরাসরি লক্ষ্য করে হামলা চালিয়ে হত্যা করেছে তা নিশ্চিত হওয়াটা কঠিন।’
তবে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর কোনো মুখপাত্রের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে দেশটির সেনাবাহিনী নির্বিচারে এসব সাধারণ মানুষ হত্যার অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে আসছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স স্থানীয় বাসিন্দা ও সরকারি কর্মকর্তাদের বরাতে জানিয়েছে, গত সোমবার রাখাইন রাজ্যের কিউক সেইক গ্রামে সেনাবাহিনীর শেল হামলায় অন্তত ৮ জন নিহত হন। কিন্তু সেনাবাহিনী বরাবরের মতই বলছে, সাধারণ মানুষ হত্যার এই অভিযোগ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।