দিশেহারা যুক্তরাজ্যের শ্রমবাজার। দুই বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ অবস্থানে উঠে এসেছে বেকারত্বের হার। সরকারি তথ্য অনুযায়ী মে থেকে জুলাই এই তিন মাসে দেশটির বেকারত্বের হার দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ১ শতাংশ। যা তার আগের তিন মাস ছিল ৩ দশমিক ৯ শতাংশ।
উল্লেখযোগ্য সবচেয়ে বেশি বেকার হয়ে পড়েছে তরুণ জনগোষ্ঠী। অন্য বয়সের তুলনায় ১৬ থেকে ২৪ বছর বয়সী কর্মক্ষম তরুণেরা সবচেয়ে বেশি কাজ হারিয়েছেন। চাকরি ধরে রাখার জন্য সরকারের ফারলো প্রকল্প শেষ হওয়ায় প্রতিষ্ঠানগুলো কর্মী ছাঁটাই করেই যাচ্ছে।
নতুন তথ্য অনুসারে, মে জুন জুলাই এই তিন মাসে অন্য সময়ের তুলনায় মোট কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীতে ১ লাখ ৫৬ হাজার তরুণ কম ছিল। দেখা গেছে এই তিন মাসে অন্য বয়সের কর্মী চাকরিতে আবার ফিরে আসলেও তরুণদের ফিরে আসার হার কম।
মার্চ মাস থেকে যুক্তরাজ্যে কোম্পানিগুলোর বেতন কাঠামোতে প্রায় ৬ লাখ ৯৫ হাজার কর্মীর কোনো হদিস পাওয়া যায়নি। মার্চ থেকে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে লকডাউন শুরু হয়েছিল যুক্তরাজ্যে।
এদিকে গতকাল বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়,অন্য মন্দার চেয়ে এবারের মন্দায় দ্বিগুণ ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা হয়েছে। কর্মী ছাঁটাই-অর্থনৈতিক মন্দার মাত্রা নিরূপণে এক অব্যর্থ সূচক। দেখা যাচ্ছে, ২০০৮ সালের আর্থিক মন্দার সময় যে পরিমাণ কর্মী ছাঁটাই করা হয়েছে, এবার মন্দায় তার দ্বিগুণের বেশি কর্মী ছাঁটাই হতে যাচ্ছে।
২০০৯ সালের জানুয়ারি-মার্চে যুক্তরাজ্যে ১ লাখ ৮০ হাজার কর্মী ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা করা হয়েছিল, আর এ বছরের মে থেকে জুলাই পর্যন্ত ৩ লাখ ৮০ হাজার কর্মী ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা করা হয়েছে। গবেষকেরা বলছেন, এবার শরৎকালের মধ্যে ছাঁটাই কর্মীর সংখ্যা ৭ লাখ ৩৫ হাজারে পৌঁছাতে পারে। ছাঁটাই হওয়া এই মানুষদের ভরণপোষণে সরকার নানা রকম পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। তাতে সরকারের ঋণ জিডিপিকে ছাড়িয়ে গেছে-দুই লাখ কোটি পাউন্ডের বেশি। প্রথম আলো