জায়নিস্ট ইসরাইল তাদের দখলদারিত্বের অংশ হিসেবে পূর্ব জেরুজালেমের শাইখ জাররাহ থেকে ২৮ মুসলিম পরিবারকে উৎখাতের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফলে ২৮টি পরিবারের ৫৫০ জন ফিলিস্তিনি মুসলিম বাস্তুচ্যুত হবেন বলে জানা যাচ্ছে।
গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, দখলদার ইসরাইলি উচ্চ আদালতের নির্দেশে শাইখ জাররাহের মুসলিম পরিবারগুলো আজ চরম উৎকন্ঠার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন ।
এবার ইহুদীরা শাইখ জাররাহের মুসলিম বাড়িগুলো নিজেদের সম্পত্তি বলে দাবি করছে। আপাতত মুসলিমদের উৎখাত না করে বাড়িগুলোর মালিকানা ইহুদিদের বুঝিয়ে দিয়ে নিজ বাড়িতে ভাড়া থাকতে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে কিংবা ফিলিস্তিন পরিবারগুলোর কেউ মারা গেলে তখন বাড়ি হস্তান্তরের পরামর্শ দিচ্ছে কেউ কেউ। তবে ফিলিস্তিনের নির্যাতিত মুসলিমরা ইহুদীদের এইসব ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র বুঝতে পেরে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
ইসরাইলি আদালত ৬ই মে বৃহস্পতিবার, ২০২১ পর্যন্ত ইহুদী ও মুসলিমদের মাঝে পারস্পরিক সমঝোতায় পৌছতে রায় দিয়ে মুলতবি ঘোষণা করে।
উল্লেখ্য, ১৯৫০ সালে ফিলিস্তিনের উপকূলীয় শহর হাইফা ও ইয়াফা থেকে এই মুসলিম পরিবারগুলোকে বিতাড়িত করে দেয়া হয় হয়েছিল, যারা বর্তমানে পূর্ব জেরুজালেমের শাইখ জাররাহতে শরণার্থী হিসাবে এসে বসতি গড়েন। তখন পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেম জর্ডানের অধীনে ছিলো। তৎকালীন সময়ে জাতিসংঘ ও জর্ডানের মধ্যকার চুক্তি অনুযায়ী শাইখ জাররাহতে জর্ডান সরকার ফিলিস্তিন শরনার্থীদের জন্য বসতি গড়ে। কিন্তু ভূমি চুক্তি মতে তিন বছর বসবাসের ফলে ফিলিস্তিন পরিবারগুলো শরনার্থী স্টযাটাস হারিয়ে ভূমির মালিকানা স্বত্ব বুঝে পায়।
১৯৬৭ সালে যুদ্ধবাজ ইসরাইল পূর্ব জেরুজালেম জোড়পূর্বক দখল করে নেয়, ফলে জর্ডান পূর্ব জেরুজালেমে তার কর্তৃত্ব হারায়। কিন্তু তখনো ভূমির মালিকানাস্বত্ব পরিবর্তন হয়নি।
১৯৭২ সালে এসে দখলদার ইহুদীরা জাল কাগজপত্র বানিয়ে শাইখ জাররাহের মুসলিম বাড়িঘরগুলোর মালিকানা দাবি করে।
বর্তমানে দখলদার ইসরাইলি আদালত জর্ডান-জাতিসংঘের করা দাপ্তরিক চুক্তিটি প্রত্যাখ্যান করে শাইখ জাররাহের মুসলিম বাতিগুলোর মালিকানা ইহুদিদের বলে রায় দিয়েছে।
শাইখ জাররাহের স্মৃতিকাতর এক প্রবীণ বাসিন্দা আবেগী কন্ঠে বলেন,”আমরা যাবো না। শাইখ জাররায় জাতিগত নির্মূল বন্ধ করুন।”